২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে-ভারত চিকিৎসা, ব্যবসা বা ভ্রমণ যেকোনো কারণে যাতায়াত করতে নতুন শর্ত মানতে হবে

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
আগস্ট ১৪, ২০২০
38
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

 বাংলাদেশে-ভারত চিকিৎসা, ব্যবসা বা ভ্রমণ যেকোনো কারণে যাতায়াত করতে হলে উভয় দেশের পাসপোর্ট যাত্রীদের এবার থেকে কয়েকটি নতুন শর্ত মানতে হবে। পাসপোর্টযাত্রীরাই উভয় দেশে প্রবেশের অনুমতি পাবেন ।  বাংলাদেশ থেকে যেমন চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণের জন্য ভারতে যান তেমনি ভারতীয়রা ব্যবসা, ভ্রমণ ও আত্মীয়স্বজনের দেখতে এদেশে আসেন। ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশে নাগরিকদের যাতায়াতে তেমন কোনো বাধা ছিল না। তবে এখন পরিস্থিতি আলাদা। করোনার আবহে তাই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত অবাধ থাকলেও কয়েকটি শর্ত মানতে হবে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসা, ব্যবসা বা ভ্রমণ যেকোনো কারণে উভয় দেশে যেতে হলে এবার থেকে কয়েকটি শর্ত মানতে হবে।১৪ আগস্ট শুক্রবার সকালে শর্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি মহাসিন কবির।

নতুন শর্ত, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভারতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বৈধ পাসপোর্ট ও ২০২০ সালের ১ জুলাই ইস্যুকৃত ভিসা থাকতে হবে। সেই সাথে ভারতীয় হাই-কমিশনের অনুমতিপত্র। যাত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে কভিক-১৯ এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট। সেই সার্টিফিকেট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হতে হবে ও ভারতে প্রবেশ করতে হবে। তবেই ভারতে প্রবেশের ছাড়পত্র পাবেন যেকোনো বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী।

ভারতীয় পাসপোর্টযাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে হালনাগাদ পাসপোর্ট, ভিসার পাশাপাশি ভারতীয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পত্র ও কভিক-১৯ এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট। সেই সার্টিফিকেট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হতে হবে ও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হবে। তারপরই বাংলাদেশে প্রবেশের ছাড়পত্র পাবেন যেকোনো ভারতীয় পাসপোর্টধারী।

করোনা পরিস্থিতিতে অনেক ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রী আটকে রয়েছেন বাংলাদেশে। লকডাউনের জেরে দেশে ফিরতে পারেননি তারা। অনেকের ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তাদের দেশে ফেরার ক্ষেত্রেও রয়েছে নতুন শর্ত। শর্তের মধ্যে রয়েছে বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা নবায়ণ (জরিমানা ব্যতীত ভিসা ও ফি প্রদান পূর্বক) ভারতীয় হাই কমিশনের অনুমতি পত্র ও কভিক-১৯ এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট। সেই সার্টিফিকেট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হতে হবে ও ভারতে প্রবেশ করতে হবে।

জানা যায়, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশ ভারতে ছড়িয়ে পড়লে তা প্রতিরোধে দুই দেশের সরকার বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়। এর মধ্যে ভারত সরকারের নেয়া পদক্ষেপে গত ১৩ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারত প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার তাদের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরার পথ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভারতে আটকে থাকা কয়েক হাজার বাংলাদেশি স্থল ও আকাশ পথে ফিরে আসেন। অনেক ভারতীয়ও ফিরে যায় স্থল ও আকাশ পথে।

এ ছাড়া ২২ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দরের রেল ও স্থল পথে ভারত সরকার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। রেল ও স্থল পথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। এখন শর্ত সাপেক্ষে চালু হলো যাত্রীদের যাওয়া-আসা। করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতে বিভিন্ন দেশ এখনও ভিনদেশীদের প্রবেশ অবাধ করেনি। কয়েকটি দেশ শর্তসাপেক্ষে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি মহাসিন কবির জানান, বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণ, ভারতীয়দের বাংলাদেশ ভ্রমণ বা বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলে তারা যাতায়াত করতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram