২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে করোনায় নতুন করে ৩৬ জনের মৃত্যু ও শনাক্ত ৮৯২ জন

প্রতিনিধি :
সুজন ইভান
আপডেট :
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২০
27
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে চার হাজার ৫৫২ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে নতুন করে আরও এক হাজার ৮৯২ জনের শরীরে অদৃশ্য ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। আর নতুন সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ২৩৬ জন।

মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৯৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব পরীক্ষায় এক হাজার ৮৯২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন পরীক্ষায় দেখা গেছে চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তের হার আরও কমেছে। ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১২.৬৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত ১৬ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে মোট শনাক্ত হলেন তিন লাখ ২৯ হাজার ২৫১ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ১৯.৮৪ শতাংশ।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরই এখন বাংলাদেশ। উৎসস্থল চীনকে ছাড়িয়েছে দুটি দেশই। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ফ্রান্স ও কানাডাকে পেছনে ফেলে ১৪তম। আর এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তুরস্ক ও সৌদিকে পেছনে ফেলে তৃতীয়। এর আগে রয়েছে ভারত ও ইরান।

এদিকে, দেশে করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ২৩৬ জন। এ পর্যন্ত দুই লাখ ২৭ হাজার ৮০৯ জন মানুষ সুস্থ হলেন।

আর এ সময়ের মধ্যে ৩৭ জন মারা গেছেন। এর আগে ৩০ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে মোট ৪ হাজার ৫৫২ জন মানুষ করোনায় প্রাণ হারালেন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যতজন মারা গেছেন, তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ষাটের বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও জিংক-ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।

করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের করোনা আক্রান্ত মায়ের দুধপানে শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কোনো তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পায়নি। অর্থাৎ, শিশুকে দুধপান করানো যাবে। তবে, এই সময়ে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখার প্রতি বিশেষ আহ্বান জানানো হয়।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।

ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি। ৭ম দফায় বাড়ানো ছুটি চলে ৩০ মে পর্যন্ত। ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি নেই। আর ১ সেপ্টেম্বর থেকে গণপরিবহন স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। তাই অফিস আদালতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় সরঞ্জামাদি রাখা ও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram