২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দুলাভাইয়ের নির্যাতনের শিকার ইবি ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
অক্টোবর ২, ২০২০
29
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

নিজস্ব সংবাদঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী উলফাত আরা (তিন্নি) দুলাভাইয়ের নির্যাতনের শিকার হয়ে অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ গত বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। তিন্নি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১২/১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।বৃহস্পতিবার রাতে তিন্নির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দুলাভাই জামিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। তিন্নির খালাতো ভাই মখলেছুর রহমান জানান, তিন্নির বড়বোন মিন্নির সঙ্গে একই গ্রামের পুনুরুদ্দিনের ছেলে জামিরুলের বিয়ে হয়। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় জামিরুলের সঙ্গে মিন্নির বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

কিন্তু কিছুদিন পরেই আবার মিন্নিকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে জামিরুল। এজন্য জামিরুল নানা ভাবে নিহত তিন্নির পরিবারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। এরই জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিন্নিদের বাড়িতে এসে জামিরুল বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ভাংচুর চালায়। পরে রাত ১০টার দিকে জামিরুল আরও ১৫/২০ জন লোক নিয়ে তিন্নিদের বাড়িতে হামলা করে। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী তিন্নি বাড়ির দুই তলায় নিজের ঘরে পড়ছিলেন।

এসময় জামিরুল লোকজন নিয়ে ওই ঘরে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে তিন্নিকে চরম মারধর করে।একপর্যায়ে জামিরুল তার লোকজন নিয়ে চলে যায়। এর ১০ মিনিট পরেই তিন্নির মা ও বোন বাড়ির দুই তলায় গিয়ে তিন্নির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়। এব্যাপারে তিন্নির মা হালিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পরে আমার বাড়িতে কোনো ছেলে মানুষ নেই।

তিন্নি অনেক মেধাবী ছিল। সে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। কিন্তু জামিরুল লোকজন এনে আমার মেয়েকে আজ মেরে রেখে গেল। আমি কার কাছে বিচার দেব? কে বিচার করবে?কথাগুলো বলতে বলতে বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন হালিমা বেগম। জ্ঞান ফিরলেই তিন্নি তিন্নি বলেই বিলাপ করছেন হালিমা বেগম। তিনি বলেন, ওরা আমার মেয়েরে এমন কিছু করে মেরেছে যেন কেউ আসল ঘটনা বুঝতে না পারে।

ওরা তিন্নিকে মেরে ফেলেছে।তবে তিন্নির বোন ও পরিবারের অন্যদের অভিযোগ, পাশবিক নির্যাতন করার কারণেই হয়তো তিন্নি আত্মহত্যা করেছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এ বিষয়ে শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, তিন্নির মৃত্যুটি রহস্যজনক। হয়তো হামলাকারীরা তার সঙ্গে এমন কিছু করেছে, যেকারণে সে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram