সাম্প্রতিকী ডেস্কঃ বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ এবং খ্যাতিমান চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরের মৃত্যু হওয়া সেই দুর্ঘটনায় দায়ী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বাসচালক জামির হোসেন মারা গেছেন।
গতকাল শনিবার সকালে ঈদের দিন তিনি ঢাকার শহীদ সোহওয়ার্দী হৃদরোগ ইন্সিটিউটে মারা গেছেন। ২০১১ সালের সেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ এবং খ্যাতিমান চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরসহ আরও তিনজনের। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন তারেক মাসুদের জীবনসঙ্গী এবং চলচ্চিত্র সঙ্গী ক্যাথরিন মাসুদ।
বাসচালক জামির হোসেনের মৃতদেহ তার নিজ গ্রাম চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড় নেয়ার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। জামির হোসেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে শুক্রবার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দৌলাতদিয়াড় স্কুলপাড়ার মৃত আব্দুর রহিম ও মরহুমা সফুরা বেগমের ছেলে জামির হোসেন ছোটবেলা থেকেই পরিবহনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
দীর্ঘদিন চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের মেহেরপুর-ঢাকা কোচের চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট গাবতলী-পাটুরিয়া সড়কের মানিকগঞ্জ ঘিওরে মাইক্রোবাসের সাথে তার বাসটির ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলে তারেক মাসুদ ও মিশুক মনিরসহ মোট ৫ জন মারা যান। ওই মাইক্রোবাসে মোট ১০ জন আরোহীর মধ্যে তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদসহ অন্য আরোহীরা আহত হলেও বেঁচে যান।
সে ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় মেহেরপুর গাংনীর চৌগাছা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ড্রাইভার জামির হোসেনকে। বিচারে চালক জামির হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পরিবহন সংস্থাকে মোটা অংকের অর্থ জরিমানা হয়।