২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না মানুষ, বাড়ছে করোনা ঝুঁকি!

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
জুলাই ২২, ২০২০
50
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ শহরের মানুষ স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব কোন প্রকার মানছে না এখানকার চিত্র ভিন্ন। সেখানে নিয়ম-নীতির কোনো বালাই নেই। বেশির ভাগ মানুষ করোনা বিষয়ে সচেতন নয়। আর যারা সচেতন তারাও মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। হাট-বাজার গুলোতে কেউ মানছে না শারীরিক দূরত্ব। বিশেষ করে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলে ও ব্যবসায়িরা রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। অনেক দোকান ও কিছু হোটেল দিন রাত ২৪ ঘন্টা খোলা রেখে ব্যবসা করছে। সে মোতাবেক কালীগঞ্জ উপজেলায় এ পর্যন্ত ২ শতাধিক ব্যাক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনা ভাইরাস সংক্রামক থেকে রক্ষা করার জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেউ মানছে না লকডাউন। এতে দিন দিন করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। গ্রামের মানুষদের সচেতন করতে প্রশাসন কাজ করলেও পাল্টায়নি কোনো কিছু, আগের মতই স্বাভাবিক নিয়মেই যেন চলছে তারা। কালীগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু হাট ঘুরে দেখা গেছে শহরের চেয়ে গ্রামের হাট বাজারের ভিন্ন চিত্র। এসব গ্রামের হাটবাজারে মানুষের সমাগম অনেক বেশি। এখানে একদিকে মানুষের ভিড় অন্যদিকে গাদাগাদি করে চলছে কেনাকাটা। স্বাভাবিক নিয়মেই চলছেন তারা। কারো মুখে মাস্ক নেই কিংবা স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই যে যার মত চলছেন। করোনা মহামারি সম্পর্কে জেনেও এরা একদিকে যেমন নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলছেন অন্যদিকে তাদের পরিবার ও প্রতিবেশীরাও পড়ছে মারাত্বক ঝুঁকিতে।

এ অবস্থায় সবাইকে আরো বেশি সচেতন করা না হলে ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল। রামনগর গ্রামের মহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষ এত অচেতন যে তারা কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি পালন করেন না। সরকার প্রতিনিয়ত তাদের সচেতন করছে, কিন্তু গ্রামের মানুষ গুলো সেই নিয়ম মানছেন না, এ জন্য আমরা খুবই আতঙ্কিত ও চিন্তিত। পাইকপাড়া গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মানুষদের ভেতরে সচেতনতা বলতে কিছু নেই। এ বিষয়ে প্রশাসনের আরো নজরদারি বাড়ানো উচিত। করোনা সংক্রমণ রোধে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন অনেক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু মানুষ স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা করছে না। প্রতিটি ওয়ার্ডে সচেতনতা কমিটি গঠন করে দেওয়া হলে মাস্ক ব্যবহার থেকে শুরু করে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ওই কমিটি দৃষ্টি রাখবে, এতে কিছুটা হলেও মানুষ সচেতন হবে।

শহরের লোকজন সচেতন থাকলেও গ্রামের লোকজন মোটেও সচেতন নয়, তাদের কোনোভাবে বোঝানো যাচ্ছে না করোনা রোগটির ভয়াবহতা। তারা যেভাবে শারীরিক দূরত্ব না মেনে চলছে তাতে এটা আরো বেশি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। কালীগঞ্জ উপজেলার গ্রাম এলাকার হাট বাজার গুলোতে প্রচার প্রচারনা, স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রশাসনের সব ধরনের কার্যক্রম চলছে। প্রত্যান্ত এলাকাতে মানুষকে সচেতন করতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে। আবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও ব্যাপকভাবে শহর ও গ্রাম এলাকায় টহল দিচ্ছে এবয় মানুষকে সচেতন করছে তার পর ও মানুষ কোন কিছুই তোয়াক্কা করছে না। সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতি থাকা অবস্থায় এক ধরনের চিত্র, ফিরে আসার পর ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। নিয়ম গুলো পালনের বিষয়টি তাদের ভেতর থেকে আসে না।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram