ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপর হামলা : প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
![](https://samprotikee.com/wp-content/uploads/2020/09/asadul-haque.jpg)
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলী শেখকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম করার ঘটনায় প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামকে (৩৫) পুলিশ ও র্যাবের যৌথ দল গ্রেপ্তার করেছে।৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে হিলির কালিগঞ্জ এলাকা থেকে আসাদুলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে।আসাদুলের বাড়ি ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুরে।
এ ঘটনায় অপর একজনসহ সন্দেহভাজন জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে পুলিশ। ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়াহিদ ফেরদৌস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং র্যাব রংপুরের একটি দল যৌথভাবে শুক্রবার ভোররাত ৪টা ৫০মিনিটে হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার প্রধান আসামি ইউএনওর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত সে-ই করেছে। আসাদুলকে রংপুরে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানমের বড়ভাই ফরিদ হোসেন বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আমীরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলী শেখকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করার ঘটনায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা।
গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মই বেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে ভেন্টিলিটার ভেঙ্গে প্রবেশ করে। তারা বাসভবনে ঢুকে ওয়াহিদা খানমকে হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে শুরু করে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে থাকা তাঁর বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাঁকেও আঘাতে জখম করে। পরে কোয়ার্টারের অন্য বাসিন্দারা তাদের চিৎকার শুনে পুলিশকে খবর দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ওয়াহিদা খানমকে ঢাকায় আনা হয়। তাঁর বাবা রংপুরে চিকিৎসাধীন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম এখন রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার শুরু হয়। আড়াই ঘণ্টা পর এ জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, নওগাঁ থেকে মাঝে মধ্যে মেয়ে ওয়াহিদা খানমের বাসায় বেড়াতে যেতেন তাঁর মুক্তিযোদ্ধা বাবা ওমর আলী শেখ। ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুরের পীরগঞ্জে ইউএনও হিসেবে কর্মরত আছেন।