‘ওরা আমার লিচুগাছের বাগান কাটেনি, আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ শেষ করে দিয়েছে।“ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কেঁদে উপরোক্ত খেদোক্তি করছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়ুকান্দি গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম।
গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে তার এক বিঘা জমির লিচুবাগানের ফলধরা সব গাছ কে বা কারা কেটে ফেলেছে। গত ২ বছর ধরে বাগানের ৩০টি সোমত্ত লিচু গাছ ফল দিচ্ছিল। সেই গাছগুলি কেটে দেওয়ায় গতকাল বাগানে বসে দরিদ্র ফলচাষি কষ্টে-ক্ষোভে ডুকরে ডুকরে কাঁদছিলেন।
জানা যায়, হাড়ুকান্দি গ্রামের দরিদ্র ফলচাষি রবিউল ইসলাম হাড়ুকান্দি-বাগুন্দার মাঠে এক বিঘা জমিতে লিচু বাগান করেছেন। প্রায় ৫ বছর আগে তিনি ওই জমিতে ৩০টি লিচু গাছ রোপণ করেন। গত ২ বচর ধরে গাছগুলিতে ফল ধরছে।
গত বছর ৩০টি গাছের লিচু ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন। এ বছর দেড় লাখ টাকায় বিক্রির প্রত্যাশা ছিল। প্রতিদিন তিনি গাছগুলির যত্নআত্তি করেন। এরই মাঝে সর্বনাশ ঘটে গেল। গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে কে বা কারা তার বাগানের সব কটি লিচু গাছ কেটে দিয়েছে।
কারা এ দুষ্কর্ম করেছে তা বলতে পারছেন না ফলচাষি রবিউল। কারও সাথে তার শত্রুতাও নেই জানিয়ে ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কাঁদে জানালেন, “যেই করুক, একা করেনি। একা বড় বড় লিচু গাছ কাটা সম্ভব না। ৫/৭ জন মিলে কেটেছে।”
এ ঘটনায় ফলচাষি আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।