ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এমদাদুল হক মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া গ্রামের এক তরুণী।
মামলায় মনির ছাড়াও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে আরো একজনকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে ৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
অভিযোগকারীর আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, আমুয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণী ২০১৭ সালে এইচএসসি পাস করে তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মনিরের কাছে চাকরির জন্য যান। মনির ওই নারীকে প্রথমে প্রেমের ও পরে বিয়ের প্রস্তাব দেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বরিশাল নগরীর আগরপুর রোডে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে হয়েছে দাবি করে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন। এমাদুল হক মনির গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই পাল্টে যায় তাঁর চরিত্র। সম্প্রতি মনির তাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করে। এ ঘটনায় ওই নারী নিজে বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী ওই তরুণী বলেন, মনির আমাকে চাকরি না দিয়ে স্ত্রী হওয়ার কথা বলেন। কিন্তু আমি সরল বিশ্বাসে তাকে ভালবেসে ফেলেছি। কিন্তু তিনি ভালবাসার মর্যাদা রাখেনি। আমাকে বিয়ের কথা বলে কাগজে সই নিয়ে এখন তা অস্বীকার করছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এব্যাপারে কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মনির বলেন, প্রতিপক্ষরা আমার মর্যাদা নষ্ট করতে এক নারীকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছে। এবিষয়ে এখনো আমি কিছু জানি না।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনা এখনো হাতে পাইনি। হাতে আসার পরে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।