আলমডাঙ্গায় আনন্দধাম নার্সি হোম কর্তৃপক্ষের চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
আলমডাঙ্গায় আনন্দধাম নার্সি হোম কর্তৃপক্ষের চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সিজারের ৩দিন পর সঠিক চিকিৎসার অভাবে আত্মীয় পরিজনের চোখের সামনেই গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায়মারা যায়। চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মত কোন অভিজ্ঞ ডাক্তার ও নার্স না থাকায় শিশুটি মারা যায় বলে পরিবারের অভিযোগ।
জাগা গেছে, উপজেলার ভোদুয়া গ্রামের শাহাজান শাহার মেয়ে সুমি খাতুনের ২০) প্রসাব বেদনা শুরু হলে গত ৬ সেপ্টেম্বর তাকে আলমডাঙ্গা আনন্দধাম নার্সি হোমে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই সন্ধ্যা ৬টায় সিজারের মাধ্যমে সুমি খাতুন পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। ক্লিনিক মালিক শরিফুল ইসলামের ছেলে প্রাইভেট মেডিকেল থেকে পাস করে আসা ডাক্তার শাওন ও তার সহকারী এনামুল মিলে সুমি খাতুনের সিজার করেন । অ্যানেসথেসিয়া দেন কুষ্টিয়া জেলারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডাঃ আব্দুস সালাম।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সিজারিয়ানের পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লেও পরবর্তীতে তার চিকিৎসায় কোন উদ্যোগ নেয়নি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পরিবারের স্বজনরা অভিযোগ তুলে ব্জানান, পর দিন ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিজ উদ্যোগে আমরা জুনিয়র কনসালটেন্ট(শিশু) ডাঃ হাবিবুর রহমানের কাছে নিয়ে যায়। তিনি শিশুটি দেখের পর একটি ব্যবস্থাপত্র করে দেন। কিন্তু ক্লিনিক মালিকের ছেলে শাওন ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ না দিয়ে তা পাল্টিয়ে দেন। এতেই শিশুটি নড়াচড়া বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয় পরিবারের লোকজন ডাঃ শাওনের সাথে কথা বলতে গেলে খারাপ ব্যবহারও করেন বলে দাবি করা হয়। একপর্যায়ে মৃত নবজাতকে আটকে আদায় করে নেন ক্লিনিকের যাবতীয় বিল।
স্থানীয়রা জানান, ক্লিনিক মালিক শরিফুল ইসলামের ছেলে ডাঃ শাওন একটি প্রাইভেট মেডিকেল থেকে এমবিবিএস পাশ করে এসেছেন। তবে সে খুব একটা রোগী দেখেন না। অপারেশনেও তিনি দক্ষ না। এ মন্তব্য সংশ্লিষ্ট মহলের।