চেক ডিজঅনার মামলায় আদালত ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী সাঈদ মেম্বর গ্রেফতার
নির্বাচন করার জন্য বন্ধুর বোনে নিকট চেক দিয়ে টাকা ধার নিয়ে শ্রীঘরে গেলেন ডাউকি ইউনিয়নের বকসিপুর গ্রামের ইউপি সদস্য শহিদ হাসান ওরফে সাঈদ মেম্বার। চেক ডিজঅনার মামলায় আদালত ১ বছরের সাজা ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন। ১৯ জানুয়ারী রাতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সাঈদকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
জানাগেছে, উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের বকসিপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে শহিদ হাসান ওরফে সাঈদ মেম্বার ২০১৬ সালে নির্বাচন করে সাধারন সদস্য হিসেবে জয়লাভ করে। নির্বাচনের মধ্যে বন্ধুর বোনের নিকট থেকে চেক দিয়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা ধার নেয়। নির্বাচনের পর টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রæতি দেয়। দীর্ঘদিন পার হলেও সাঈদ বন্ধুর বোন আলমডাঙ্গা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের নকলনবিশ কেদারনগর গ্রামের রেবেকা খাতুনের টাকা পরিশোধ করেনি। সাঈদ মেম্বারের দেওয়া চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে তার একাউন্টে কোন টাকা নেই বলে ব্যাংক ম্যানেজার জানিয়ে দেয়।
পরে কোন উপায় না পেয়ে রেবেকা খাতুন বাদী হয়ে আদালতে শহিদ হাসান সাঈদের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বাদী রেবেকা খাতুনের পক্ষে রায় হয়। আদালত শহিদ হাসান ওরফে সাঈদ মেম্বারকে ১ বছরের সাজা ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে।
১ বছরের সাজা ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা হওয়ার পর সাঈদ মেম্বার দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। ১৯ জানুয়ারী গভীর রাতে আলমডাঙ্গা থানার এসআই আমিনুল হক, এসআই সুলতান ও এসআই জামাল উদ্দিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে সহিদ হাসান ওরফে সাঈদ মেম্বারকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। ২০ জানুয়ারী তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।