গাংনীতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ওপর হামলা: অস্ত্র ও গুলি ছিনতাইয়ের অভিযোগ
মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো: আশরাফুল ইসলামের প্রচারনায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ হামলার জন্য আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আহমেদ আলীর কর্মী সমর্থকদের দায়ি করে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মো: আশরাফুল ইসলাম বলেন,তিনি সহ তার কয়েকজন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ২ নং ওয়ার্ড শিশিরপাড়া গ্রামে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ওয়ালিদ আল জাবির প্লাবন,জাহিদ হোসেন,হিরোক ও আব্দুল করিম সহ অন্তত ১০ জনকে আহত করে।
এসময় তার কাছে থাকা বৈধ একটি পিস্তুুল ভর্তিএকটি ম্যাগজিন ও ৯ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নিয়ে ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাদের কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। গাংনী থানার ওসি মো: বজলুর রহমান জানান, হামলার সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিত শান্ত করা হয়। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আহমেদ আলী হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে অপর মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার অভিযোগ তুলে বলেন, হামলায় নাজমুল নামের এক কর্মী সহ ৪ জন আহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন,নির্বাচন চলাকালে বৈধ পিস্তুুল হলেও বহনকরা আইনগত ভাবে বৈধ নয়। তিনি কিভাবে পিস্তুল নিয়ে প্রচারনায় গেলেন তা খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। গাংনী পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলী জানান,আগামি ১৪ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ। এর আগে বৈধ অস্ত্র যে কেউ তার নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করতে পারে। তবে হামলার ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।