১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে প্রাণ হারালেন স্নাতক পড়ুয়া যুবক সাগর

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
44
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

বেপরোয়া গতিতে মোটসাইকেল চালানোর দায় শোধ করতে হল যুবককে জীবন দিয়ে। হাই স্প্রীডে মোটর সাইকেল চালানোর সময় সড়কের সড়কের পাশের বটগাছের সাথে ধাক্কা খেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী যুবক সাগরের (২১) মৃত্যু হয়েছে। তার অপর দুই সহযাত্রী মোটরসাইকেল চালক নাইম জোহান ও সাজিদ হাসানকে (১৬) গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


১১ ডিসেম্বর রাত ৯ টার দিকে হাটবোয়ালিয়া এলাকা থেকে ৩ বন্ধু এক মোটরসাইকেলে আলমডাঙ্গা শহরে ফেরার পথে কুমারী ভেটেরিনারী সাইনবোর্ডের নিকট দুর্ঘটনা ঘটে।


নিহত নাহিদ হাসান সাগর স্নাতকের ছাত্র ও আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুরের মৃত মুনতাজ আলীর ছেলে।


অপরদিকে, নাইম জোহান কলেজের পিছনের পাড়ার হাজী মন্টু আহমেদ ও সাজিদ হাসান কলেজপাড়ার ওয়াজেদ আলী কচির ছেলে। তারা দুজন এ বছর সদ্য এইচ এসসি পাশ করেছে।


প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, রাত ৯ টার দিকে হাটবোয়ালিয়া এলাকা থেকে তিন বন্ধু এক মোটরসাইকেলে আলমডাঙ্গা শহরের দিকে ফিরছিলেন। পথের ভেতর কুমারী ভিটি আই মোড়ে পৌঁছলে মোটরসাইকেল চালক নাইম হাই দ্রæত গতির গাড়ির ¯িøপ করে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে সাগর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। সড়কের পাশের বটগাছের সাথে তার মাথা ঠুকে রক্তাক্ত জখম হন। চালকসহ অপর যুবকও রক্তাক্ত জখম হন। তাদেরকে দ্রæত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স হারদীতে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদ হাসান সাগরকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহত নাইম জোহান ও সাজিদ হাসানকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।


আলমডাঙ্গা থানার পরির্দশক একরাম হোসাইন বলেন, তিন বন্ধু মিলে আলমডাঙ্গা হারদী এলাকা থেে ফেরার পথিমধ্য কুমারি ভেটেরিনারী এলাকায় পৌছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বটগাছে ধাক্কা মারে। স্থানীয়রা আতহ তিন জনকে উদ্ধার করে প্রথমে হারদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাগর নামে একটি ছেলেকে মৃত বলে ঘোষনা করে। আহত দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।


গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মুন্তাজের দুই সন্তানের ভেতর একমাত্র ছেলে সাগর ছিলেন ছোট। সাগরের বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। রাতেই লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একমাত্র ও সোমত্ত ছেলের আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদে মা শোকে পাগলপ্রায়। নিকট আত্মীয়র বুকফাটা আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। রাতেই লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একমাত্র ও সোমত্ত ছেলের আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদে মা শোকে পাগলপ্রায়। নিকট আত্মীয়র বুকফাটা আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram