২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
নভেম্বর ১৫, ২০২১
24
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে তৃনমুলে বিভেদ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ এখন আওয়ামীলীগ। নির্বাচনী টক্করের এই লড়াইয়ে নৌকার প্রার্থীরা এখন চিন্তায় পড়েছে। ইতিমধ্যে মহেশপুর উপজেলায় এই নির্বাচনে ৬ নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিস্কার করা হলেও থামছে না বিভেদ।

অবশ্য এই বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে কয়েকটি সংসদ নির্বাচন থেকে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগ অশ্বস্তিতে রয়েছে। এর ঢেও উপজেলা নির্বাচনেও আছড়ে পড়ে। নৌকার প্রার্থীদের বিপক্ষে হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপায় জয়ী হয় বিদ্রোহী প্রার্থী। ফলে বিদ্রোহীরাও দলে এখন দুধে ভাতে রয়েছে। প্রথমে বহিস্কার হলেও এখন তারা নানা পদ পদবীতে ভুষিত হয়েছেন। এদিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ নির্বাচনে উপজেলার ৩নং কোলা ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়ুব হোসেন নৌকা প্রতিক না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। আয়ুব হোসেন এবারের নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সুষ্ঠ ভোট হলে তিনি জয়ী হবেন বলে আশাবাদী। জানা গেছে, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রয়াত আনন্দ মোহন ঘোষ সভাপতি ও মনোয়ার হোসেন বাদশা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় হামলা চালানো হয়।

এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আনন্দ মোহন ঘোষসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। ওইদিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আনন্দ মোহন ঘোষ। আওয়ামী লীগ নেতা আনন্দ মোহন ঘোষ হত্যাকাÐ মামলার ১ নং আসামি বিদ্রোহী প্রার্থী আয়ুব হোসেন। এরপর ২০১৯ সালে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোলা ইউনিয়ন কার্যালয়ে সামনে এক সভায় সভাপতি হিসেবে আয়ুব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন বাদশার নাম ঘোষণা করেন।

গত নির্বাচনে আয়ুব হোসেন নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মনোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীর বিষয়ে তিনি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছেন। আশাকরি তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আয়ুব হোসেন জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী তার সাথে আছেন। নৌকা পাননি এজন্য তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু জানান, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তারা সকলেই বহিষ্কার হবেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি ও কোটচাঁদপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ১১ নভেম্বর ছিল প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১২ নভেম্বর প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মহেশপুর ও কোটচাঁদপুরে ২০ নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram