২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় রেলের টিকিট সিন্ডিকেট বেপরোয়াঃ জাল টিকিট কিনে যুবক পড়লো বিপদে

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
জানুয়ারি ২২, ২০২২
26
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


আলমডাঙ্গার রেলস্টেশনের টিকিট সিন্ডিকেট অত্যন্ত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের খপ্পড়ে পড়ে অধিক মূল্যে টিকেট কিনেও যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে বিপদে। এই সিন্ডিকেটের কাছ থেকে জাল টিকিট কিনে হাসান নামের এক যুবককে জরিমানা গুনতে হয়েছে । বৃহস্পতিবার ঢাকায় যাবার জন্য সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের জাল টিকিট দ্বিগুনের বেশি মূল্য দিয়ে কিনে বিপাকে পড়েন ওই যুবক। উল্লাপাড়া স্টেশনে পৌঁছে ট্রেনের টিটি যুবকের টিকেট চেক করে দেখেন সেটি জাল। আলমডাঙ্গার ট্রেনের চিহ্নিত টিকেট সিন্ডিকেটের কালোবাজারি দ্বিগুণ মূল্য নেওয়া সত্বেও তাকে জাল টিকেট গছিয়ে দিয়েছে। ফলে প্রতারিত যুবককে জরিমানাসহ খুলনা থেকে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে।

এ ঘটনার পরদিন রাতে বিচার সালিশে টিকিট সিন্ডিকেটের সদস্য মুদি দোকানী ইদবার আলী জাল টিকিটের মূল্যসহ জরিমানার টাকা ফেরৎ দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করেছে।

জানা গেছে,আলমডাঙ্গার রেল স্টেশনে টিকিট সিন্ডকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আগে থেকেই স্টেশনের কাউন্টার থেকে নামে বেনামে টিকিট কেটে রেখে যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করে আসছে।

আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে চাকুরীরত কর্মচারীরা এ অপকর্মে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা বিভিন্ন নামে টিকেট বিক্রি দেখিয়ে ওই টিকেট স্টেশনের সামনের মুদি দোকানী ইদবার আলীর মাধ্যমে অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন কর্মকান্ড চলে আসলেও বিষয়টি দেখার কেউ নেই। টিকিট সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা।


গত বৃহস্পতিবার কামালপুরের ডাবলু রহমানের ছেলে হাসান রাতে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় যাবার জন্য স্টেশনে টিকিট কিনতে যায়। স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে সে নীচে দোকানদার ইদবার আলীর কাছ থেকে ৩শ' ৭৫ টাকার টিকিট ৮শ' টাকা দিয়ে ক্রয় করে। রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেন ছেড়ে যায়।

ট্রেন উল্লাপাড়া স্টেশনে পৌঁছালে ট্রেনের চেকার টিকিট চেক করতে এসে হাসানের কাছে থাকা জাল টিকিট শনাক্ত করেন। পরে জরিমানাসহ খুলনা থেকে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করতে হয় হাসানকে। ফিরে এসে বিষয়টি এলাকার যুবকদের জানালে তারা রেলের টিকেট সিন্ডিকেটের সদস্য ইদবারকে ধরে। পরে স্টেশনে এক সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে জরিমানাসহ টিকিটের টাকা ফেরত দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করা হয়। উল্লেখ্য, প্রায় ৩-৪ মাস আগে আরেক যুবক একইভাবে ইদবার আলীর নিকট থেকে জাল টিকিট কিনে বিপদে পড়েছিল।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, স্টেশন এলাকার ইদবার আলী, বিপুল, খাইরুল,ফ্লাক্সিলোড ব্যবসায়ী শাহিনসহ অনেকেই টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। প্রশাসনের নিকট তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram