আলমডাঙ্গায় মালোশিয়া প্রবাসীর বন্ধু পরিচয় দিয়ে তার বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার চুরি হওয়ার ১২ ঘন্টা পর উদ্ধার
আলমডাঙ্গায় মালোশিয়া প্রবাসীর বন্ধু পরিচয় দিয়ে তার বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার চুরি হওয়ার ১২ ঘন্টা পর পুলিশ উদ্ধার করেছে। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত চোর আল আমিনকে গ্রেফতার করেছে । বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে আমলী আলমডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। সন্ধায় তাকে পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিকা গ্রামের প্রবাসি রাজন আলীর স্ত্রী আরফিনা খাতুন তার দুই সন্তান ও শ্বশুরীকে নিয়ে বাড়ীতে থাকেন। গত বুধবার দামুড়হুদা উপজেলার রামনগর মাঝের পাড়ার মৃত ইলিয়াছ আলীর ছেলে আল-আমিন ওই বাড়িতে যায়। তার নাম শাহজাহান আলী বলে পরিচয় দেয়। সে রাজনের সাথে মালয়েশিয়া একসাথে কাজ করতো বলে আরিফা খাতুনকে জানায়। আরফিনা খাতুন তার কথা বিশ্বাস করে তাকে ঘরের বারান্দায় বসতে দেন। নাস্তার ব্যবস্থা করতে গেলে ধুর্ত ব্যক্তি মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে ।
এ সময় ওয়ারড্রপের ড্রয়ের তালা ভেঙ্গে ড্রয়রে থাকা একজোড়া সোনার বালা, এক জোড়া সোনার কানের দুল, একটি আংটি, একটি সোনার ব্রেসলেট চুরি করে প্যান্টের পকেটে রাখতে গেলে আরজিনা খাতুনের মেয়ে মারিয়া খাতুন দেখে ফেলে। তার চিৎকারে ওই ব্যক্তি দ্রæত তার মোটর সাইকেল ও মোবাইল ফোন রেখে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি আলমডাঙ্গা অফিসার- ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি জানতে পেরে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন।
সুপারেরর নির্দেশে চুয়াডাঙ্গা সাদর সার্কেল আনিসুজ্জামানের তত্বাবদানে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) একরামুল হোসেনের নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) সালাউদ্দিন, এসআই (নিঃ) পলাশ পারভেজ, গাংনি তদন্ত কেন্দ্রের এসআই(নিঃ) অচিন্ত আধিকারী একদল ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে মোবাইল ফোন ও মোটর সাইকেলের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার ভোররাতে তার নিজ রামনগর মাঝের পাড়া থেকে আসামী আল আমিনকে তার বাড়ী হতে গ্রেফতার করেন। এ সময় আসামীর নিকট হইতে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আরফিনা খাতুন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।