আলমডাঙ্গায় ভোটকেন্দ্রের মতোই উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল পৌরসভাসহ উপজেলার ৪৮টি টিকাদান কেন্দ্রে
আলমডাঙ্গায় ভোটকেন্দ্রের মতোই উৎসবমুখর পরিবেশে ছিল পৌরসভাসহ উপজেলার ৪৮টি টিকাদান কেন্দ্রে। ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে কেন্দ্রে টিকা নিতে আসেন লোকজন। প্রতিটি কেন্দ্রে নারী-পুরুষের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা যায়। সারিতে থাকা লোকজনের মধ্যে ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি করতেও দেখা গেছে।
স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই ছিলু না মোটেও। অথচ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সারিতে দাঁড়ানোর কথা ছিল তাঁদের। কারণ, তাঁরা ভোট দিতে নয়, এসেছিলেন করোনার টিকা নিতে। এভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে টিকা নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানোর কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অনেক কেন্দ্রে নারী-পুরুষের পৃথকভাবে টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল না বলেও অভিযোগ ছিল।
আলমডাঙ্গা পৌরসভা এলাকায় ৩টি ও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি করে ১৫টি ইউনিয়নের আরও ৪৫টি কেন্দ্রে গতকাল একযোগে টিকাদান করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ২ শ ব্যক্তিকে করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে। সেই হিসেবে উপজেলায় মোট ৯ হাজার ৬ শ জন নারীপুরুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রগুলিতে শুধু সারিতে নয়, নিবন্ধন বুথ, ভবনের বারান্দা ও সামনের এলাকা ছিল মানুষে ঠাসা। প্রতিটি কেন্দ্রে ২ শ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও লাইনে ৩/৪ গুন বেশি মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চেষ্টা সত্ত্বেও টিকাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। তবে ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে কেন্দ্রে এলেও অনেককে টিকা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। একই পরিস্থিতি ছিল সরকারের গণটিকা কর্মসূচি চলাকালে উপজেলার সবকটি কেন্দ্রে।
টিকা নিতে আসা লোকজনের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে অনলাইনে নিবন্ধন করার পর নির্ধারিত বুথে নিয়ে টিকা দেওয়া হয়েছে।
আলমডাঙ্গা পৌরসভা এলাকার টিকাদান কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ সাঈদকেও উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।