ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের বিবাদমান চাচা-ভাতিজা দুপক্ষের বিরোধে থানায় পরষ্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ
আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের বিবাদমান চাচা-ভাতিজা দুপক্ষের বিরোধে থানায় পরষ্পর পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এক পক্ষ হচ্ছে ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা কাউসার আহমেদ বাবলু।
অন্যপক্ষ হচ্ছে জেলা পরিষদের সদস্য ও ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় সভাপতি সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরণকারি আসাদুল হক বিশ্বাস ঠান্ডুর ছেলে নাহিদ হাসনাত সোহাগ। বাবলু চেয়ারম্যান ও সোহাগ চাচা-ভাতিজা। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দুজন পরষ্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে। এই নিয়ে দুপক্ষে উত্তেজনা নিত্যদিনের।
এর মধ্যে ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার চা দোকানে দুপক্ষের মধ্যে গোলযোগের সৃষ্টি হয়। এলাকাসূত্রে জানা যায়, মহেশপুরের উত্তরপাড়ায় একপক্ষের নির্বাচনি মিটিং ছিল। সেই মিটিং-এ বিপক্ষের নেতাকর্মিকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। এমন দাবি করে বিপক্ষের শিবিরে উত্তেজনা ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত তা দুপক্ষের মারামারিতে পর্যবশিত হয়।
এ ঘটনায় চাচা পক্ষের লোক হিসেবে পরিচিত মহেশপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার শুকুর আলীর ছেলে লিটন আলী বাদি হয়ে রাতে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের সাহিবুল, আরিফুল ও নাজমুল তাকে পিটিয়েছে।
অন্যদিকে, ভাতিজা পক্ষের লোক হিসেবে পরিচিত মহেশপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার গোলাম রসুলের ছেলে সাহিবুল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অনুরূপ অভিযোগ তুলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আসামি করা হয়েছে একই গ্রামের লিটন, সাইদুল, দেলোয়ার, শামসুল ও সিরাজুলকে।