২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় ৬ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ আন্ত:‌জেলা চোরচ‌ক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
49
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

এক মোটরসাইকেল উদ্ধার অভিযানে নেমে ৬ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। এ সফল অভিযান পরিচালনাকালে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের দুই চোর সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাদের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার ঝাউদিয়া গ্রামে ও হরিনাকুন্ড থানার তৈলটুপি ।


এদিকে, এ সফল অভিযানে প্রশংসায় ভাসছেন আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ। বিশেষ করে ভূক্তভোগীসহ আলমডাঙ্গার অনেককেই থানাপুলিশের অভিযানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায়।


জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে হারদী বাজার থেকে সুজুকি জিকসার মনোটন নামের একটি মোটরসাইকেল চুরি যায়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল মালিক ইমতিয়াজ মিজান নিপ্পন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ মোটরসাইকেল উদ্ধারে মাঠে নামে। চুরি যাওয়া একটি মোটরসাইকেল খুঁজতে গিয়ে পুলিশ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের সন্ধান পায়। পুলিশ অবিশ্বাস্য গতিতে পরপর ৬ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।


পুলিশ জানায়, ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে জামজামি বাজারে যাত্রী ছাউনির সামনে থেকে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের দুজন সদস্যকে আটকাতে সক্ষম হয় তারা। আন্তঃজেলা চোরচক্রের সদস্য দুজন হলো কুষ্টিয়ার ইবি থানার ঝাউদিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সোহেল রানা(২০) ও ঝিনাইদাহ জেলার হরিনাকুন্ড থানার তৈলটুপি গ্রামের তাইজাল আলীর ছেলে রতন(২০)। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা একটি টিভিএস ও একটি ডিসকভারি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এরপরই একটির পর একটি মোটরসাইকেলের সন্ধান পেতে থাকে পুলিশ। আটক চোরচক্রের সদস্যদের তথ্য অনুযায়ী ওই রাতেই ঝাউদিয়া বাজারের ব্রিজ সংলগ্ন সুজনের চায়ের দোকানের সামনে থেকে একটি টিভিএস মেট্রোপ্লাস ও দুটি ডিসকভারি নামের তিনটি মোটরসাইকেলের সন্ধান মেলে। এরপর একই রাতের ভোরের দিকে কুষ্টিয়া শহরের পেয়ারাতলা এলাকা থেকে কাঙ্খিত সুজুকি জিকসার মনোটন মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি চৌকষদলের বিরামহীন চেষ্টার ফলে চোরাই ৬টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা সম্ভব হয়। অভিযান পরিচালনা করেন আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) একরামুল হোসাইন, এসআই আমিনুল হক ও এএসআই হামিদুল ইসলাম।


আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সেক্রেটারি কামাল হোসেন বলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা শুধু আয়তনেই বড় নয়, এ উপজেলার সীমান্তে ৪ টি উপজেলার অভিন্ন সীমানা রয়েছে। ফলে দুষ্কৃতকারীদের দমন করা বেশ কষ্টসাধ্য। আলমডাঙ্গাসহ এখানে ক্রাইম করে মিরপুর উপজেলা, গাংনী উপজেলা, কুষ্টিয়ার ইবি থানা ও ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার অপরাধীরা। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের এই সফল ও সাহসী অভিযান পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানানো দরকার।


থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম। থানায় আমার পাঁচ মাসের দায়িত্বকালে এই ৬টিসহ মোট ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে থানার পুলিশ। পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রনেও পুলিশ সদস্যরা বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, একজনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চোরেরা চুরি করে নিয়ে যাবে এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। যে মাদক সমাজকে কলুষিত করছে, আমরা সেই মাদকের ব্যাপারে জিরোটলারেন্স। আমাদের পুলিশ সব ধরনের আন্তঃজেলা চোরচক্র ও মাদকের শিকড় উপড়ে ফেলতে কাজ করছে। এজন্য সব মহলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram