২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী আমার শেষ আরজি- নাঈম পারভেজ অপু

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
নভেম্বর ১০, ২০২০
24
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

নিজস্ব প্রতিনিধি । সাংবাদিক শফিকূল ইসলাম কাজল কি চোর, ডাকাত, অর্থপাচারকারী, রাষ্ট্রদ্রেহী, জেএমবি নাকি রাষ্ট্রসম্পদ লুন্ঠনকারী? তবে কেন তার জামিন হবে না? কি এমন দোষ করেছে? যারা আজ লুটপাট করছে হয়তো তাদের বিরুদ্ধে দু চার কথা লিখেছে। এটা কি তার অন্যায়? হাঁ অন্যায় কেন না কাজলের মত প্রতিবাদকারীর জন্য আইসিটি তৈরী করা হয়েছে। আজ দেশে কত মারাত্মক অপরাধীর জামিন হয়,বেকসুর খালাশ পায় আবার বিদেশেও চলে যায়। কিন্তু আমার বন্ধু সাংবাদিক কাজলের জামিন হয় না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিই একমাত্র সত্য অনুধাবনকারী। আপনার কাছে আমার মত সাধারনের এ আরজি... ১/১১তে আপনি যখন সুধাসদনে গৃহবন্ধী । চারি দিকে পুলিশের প্রহরা কাকপক্ষীও যেতে পারে না আমি আর কাজল আপনার বিশ্বস্থ কর্মচারী নোয়াখালীর চাটখিলের জাহাঙ্গীর যার মোবাইল ০১৯১৫৮১৬৬২৫ ( তখন ব্যবহার করতেন) নাম্বারে যোগাযোগ করে কুমিল্লার এক খ্যাতনামা হুজুরের দোয়া ও আমল গোপনে জীবনের ঝুকি নিয়ে সুধাসদনে পৌছে দিয়ে ছিলাম। এরই মধ্যে চ্যানেল আইএর আমার বন্ধু আরিফিন ফয়সল ফোন দিয়ে বললো আমেরিকা থেকে খোকন( বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব) ফোন করবে আমি যেন ফোনটা ধরি। খোকন আমাকে ফোনে জানালো শেখ হাসিনা গৃহবন্ধীর প্রতিবাদে সজিব ওয়াজেদ জয় টেলি প্রেস কনফারেন্স করতে চাইছেন আমি যেন ব্যবস্থা করি। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে দিনক্ষণ ঠিক করে জানালাম।

খোকন তখন সজিব ওয়াজেদ জয়ের সাথেও আমাকে কথা বলিয়ে দিলেন। যেদিন গোপনে টেলি প্রেস কনফারেন্স করতে যাব কাজল আমার সাথে ডিআরইউর তিনতালায় বিষয়টি আগেই গোয়েন্দাদের খবর পৌছে দিয়েছিলেন বর্তমানে সাংবাদিকদের এক বড় নেতা যিনি এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছের লোক। যাক ডিআরইউর এলাকায় প্রবেশের সাথে চারি দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা। উপায় না দেখে কাজলকে বললাম বাইক থেকে না নামার জন্য। সোজা টান দিলাম গোয়েন্দাদের গাড়ি আর ধরতে পেল না। চিপা দিয়ে ঢুকে একে বারে সোহরাওয়ার্দীর কালীমন্দিরে। সে দিনও আমি আর কাজল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চেষ্টা করে ছিলাম। গৃহবন্ধী মায়ের জন্য দূর প্রবাসে থাকা সন্তানে প্রতিবাদ জনগণের কাছে পৌছানোর। হযতো আমরা সফল হতে পারিনি কূচক্রী দের জন্য।

১/১১ র যে রাতে আপনাকে গ্রেফতার করে তখন আমি আর কাজল টিএসসিতে বসে ছিলাম। প্রথম খবর এলো আপনাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। রাত তখন ১/২টা আমি আমার মটরবাইকে কাজলকে তুলে নিয়ে ছুটলাম সুধাসদনের দিকে চারিদিকে খাঁ খাঁ রাস্তায় একটা প্রাণী নাই সুধাসদনের কাছে যেতেই শব্দ এলো হোল্ড অস্ত্র তাক করা তিন সেনা ঘিরে ধরলো । বাইক থেকে নেমে দাঁড়ায়ে পরিচয় জানতে চাইলো পরিচয় দিলাম। গালি দিয়ে বললো যেদিক দিয়ে এসেছি সেদিক দিয়ে চলে যাই পিছনে যেন না তাকাই। সাহস নিয়ে আমি জানতে চাইলাম আপাকে কি গ্রেফতার করা হয়েছে? বললো হাঁ। এর পর আবারও গালি দিলো অন্য একজন কেন আমরা স্থান ত্যাগ করছি না। চলে এলাম আর ভাবলাম এত নেতা কর্মী এত সাংবাদিক নেতা কাউকে তো দেখলাম না আসেপাশের রাস্তায়।

দুইটি চ্যানেলকে সংবাদটি এবং পরিস্থিতি জানিয়ে চলে এলাম। সেইরাতে কিন্তু কাউকে পাইনি সুধাসদনের এলাকায়। মাননীয় আপনি সংসদ ভবনের সাব জেলে। ঢাবির ছাত্র লীগের মিলন (বর্তমানে স্বেচ্ছা সেবক লীগের মহানগরের নেতা) আপনার মুক্তির দাবিতে পোষ্টার লাগাবে অনেকে ফটো সাংবাদিকের কাছে গিয়ে ফিরে আসে। টিএসসিতে আমি আর কাজল বসা আমাদেরকে বলার পর রাজি হলাম এবং মিলন ঢাবি এলাকায় পোষ্টার লাগানোর ছবি তুলে পরের দিন পত্রিকায় শেখ হাসিনার মুক্তি চাই পোষ্টার লাগানোর ছবি ছাপা হলো। মাননীয়া আপনার মুক্তির পর সুধাসদনের ওয়াল বেয়ে উঠে যে ছেলেটি আপনার পা ধরে সালাম করে ছিল সে ছিল কাজল।

টিএসসিতে বসে চা খাচ্ছি কাজল বললো বীরঙ্গনাদের ছবি তুলবে সিরাজগঞ্জে গিয়ে আমি যেন তাকে সহযোগিতা করি। আমি বললাম সিরাজগঞ্জে সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ আছে বাংলার চোখে কাজ করে ওর নাম্বার নিয়ে যা ও তোকে সহযোগিতা করবে আমি বলে দিব। দুদিন পর ফিরে এসে কাজল রীরঙ্গনা দের ছবি দেখালো। আমি বললাম হয়নি তুই আবার যা ভিডিও করবি তাঁদের জীবনযাত্রা এখন কেমন চলছে এবং লেখে নিবি সব তাই করে সাত দিন পর ফিরে এলো। আমি বললাম লেখা গুলো একত্রে বই আকারে বের কর। তখন মন্ত্রী দিপু মনির সাথে ভালো সম্পর্ক । আমি বললাম দিপু আপারে গিয়ে বল বীরঙ্গনাদের জীবনী নিয়ে ইংরেজী ও বাংলায় বই বের করবি। পরে সে বই বের হোল । বিদেশে এমনকি জাতিসংঘেও সমাদ্রিত হলো শফিকূল ইসলাম কাজলের বই “অশ্রুত বীরগাথা ”The Unsung Ballads" মাননীয়া জাতির জন্য এত বড় কাজ করেও আজ সাংবাদিক কাজল কিছু সুবিধা ভোগীদের করা মামলায় কারাগারে । কাজলের স্ত্রী মরনব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত আজ প্রায় সাত বছর। ভারতে চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ্য হলে সংসারের স্বচ্ছলতার জন্য একটা ল্যাবে কাজ করতো করোনার কারনে সে টাও এখন বন্ধ। শিক্ষার্থী দুই সন্তান নিয়ে বড়ই মানবেত্বর জীবন যাপন করছে। (উপরের লেখা গুলো এক চুলও মিথ্যা নয়) আপনার কাছে আমার মত দেশের শত শত সাংবাদিকের শেষ আরজি কাজলকে মুক্তি দিতে বলুন।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram