সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে হাটবোয়ালিয়ার মেরিট মডেল স্কুল ক্লাস অব্যাহতঃ অভিভাবকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়ার মেরিট মডেল স্কুল ক্লাস চালু রাখায় অভিভাবকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সচেতন অভিভাবকেরা ক্ষুদ্ধ।
জানা যায়, হাটবোয়ালিয়া বাজারের সোনালী ব্যাংকের দক্ষিণে অবস্থিত একটি বিল্ডিং ভাড়া করে পরিচালনা করা হচ্ছে মেরিট মডেল স্কুল। করোনা মহামারীতে গত বছর মার্চ মাস থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সাথে মেরিট মডেল স্কুলও বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের জন্য। পরে গোপনে আবার চালু করা হয়। শিক্ষার্থিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুলভাল বুঝিয়ে শিক্ষার্থিদের ক্লাসে নিয়ে আসা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিষয়টি জেনে যাওয়ায় তারা অভিনব কৌশলে ক্লাস চালু রেখেছেন। কোন কর্মকর্তা আসছেন এমন আভাস পেলে পার্শ্ববর্তি হাটুভাঙ্গা গ্রামের পাতাল আলীর বিল্ডিং-এ শিক্ষার্থিদের নিয়ে গিয়ে ক্লাস অব্যাহত রাখেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, আমার একমাত্র সন্তান মেরিট স্কুলে পড়ে। করোনা মহামারীতে সারা বিশ্বের স্কুল-কলেজ বন্ধ। অথচ, আমার সন্তানকে স্কুলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। খারাপ কিছু হলে তো মাস্টারদের কিছু হবে না, হবে আমার। সবার শিশু স্কুলে যাচ্ছে আর আমি সন্তানকে স্কুলে যেতে বাধা দেব তাও হয় না। তাই অনিচ্ছা সত্বেও সন্তানকে স্কুলে পাঠাই। শিক্ষকদের তো ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছিলো, তাই সরকারের নির্দেশ অমান্য করে স্কুলে শিক্ষার্থিদের যেতে বাধ্য করছে। কিছু বলতে গেলে আবার শিক্ষকরা অখুশি হয়, সেটা ভেবে কিছু বলতে পারিনা। সরকারি অফিসাররা যদি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত, তাহলে জোর করে টাকার লোভে শিশুদের ঝুঁকির মুখে ফেলতো না এ সব শিক্ষকরা।