আলমডাঙ্গায় বিজয়ী হয়েছেন নৌকার কান্ডারী হাসান কাদির গনু
সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাসান কাদির গনু পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পর পর তিনবারসহ মোট ৪ বার মেয়র নির্বাচিত হলেন। নৌকা প্রতীকে তিনি সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬শ ৫২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী মোবাইলফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ১শ ২৩ ভোট। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী আলহাজ্ব মীর মহিউদ্দিন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১শ ৫৮ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেদ বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। অবশ্য, দুপুর ১টায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মীর মহিউদ্দিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
তাছাড়া, পানির বোতল প্রতীকে সর্বোচ্চ ৫শ ৮৪ ভোট পেয়ে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আলাল উদ্দীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুদ রানা তুহিন উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৩শ ২০ ভোট। তাছাড়া, পাঞ্জাবী প্রতীকে নাহিদ হাসান পেয়েছেন ২শ ৭১ ভোট, ডালিম প্রতীকে মিকাইল হোসেন পেয়েছেন ২শ ৯ ভোট ও টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে শরীফুল ইসলাম পেয়েছেন ৩শ ৪ ভোট।
২ নং ওয়ার্ডে পানির বোতল প্রতীকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১শ ৪০ ভোট পেয়ে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন খন্দকার মজিবুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী আলী আজগর উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৬শ ৭ ভোট। তিনি নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচন বর্জন করেন।
এছাড়া, ৩ নং ওয়ার্ডে টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০ ভোট পেয়ে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন জহুরুল ইসলাম স্বপন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দীনেশ কুমার বিশ্বাস উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৫শ ৬৫ ভোট। তাছাড়া, নওশের আলী পানির বোতল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ ভোট।
এছাড়া, ৪ নং ওয়ার্ডে ডালিম প্রতীকে সর্বোচ্চ ৬শ ১১ ভোট পেয়ে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সদর উদ্দীন ভোলা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পানির বোতল প্রতীকে পরিমল কুমার ঘোষ পেয়েছেন ৫শ ৬১ ভোট। তাছাড়া, টেবিল ল্যাম্প প্রতিকে শাহীন রেজা পেয়েছেন ২শ ৮ ভোট, ইলিয়াস হোসেন স্ক্রু-ড্রাইভার প্রতীকে পেয়েছেন ২শ ৫২ ভোট, পাঞ্জাবী প্রতীকে আক্তারুজ্জামান পেয়েছেন ১শ ৩৮ ভোট, বøাক বোর্ড প্রতীকে জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ৫০ ভোট, ফাইল কেবিনেট প্রতীকে কাজী হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ৭৩ ভোট, ব্রীজ প্রতীকে বিমল কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ২৪ ভোট ও উটপাখি প্রতীকে আলম হোসেন পেয়েছেন ৪৬ ভোট।
এছাড়া, ৫ নং ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকে সর্বোচ্চ ৯শ ৯ ভোট পেয়ে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল গাফফার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৭শ ১৭ ভোট। তাছাড়া, ডালিম প্রতীকে মশিউর রহমান পেয়েছেন ৪শ ২১ ভোট ও পানির বোতল প্রতীকে শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৩শ ৫৯ ভোট।
এছাড়া, ৬ নং ওয়ার্ডে ডালিম প্রতীকে সর্বোচ্চ ৯শ ৭১ ভোট পেয়ে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ডালিম হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে আবুল কাশেম পেয়েছেন ৭শ ৩৯ ভোট। তাছাড়া, উটপাখি প্রতীকে রেজাউল হক পেয়েছেন ৫শ ৫৪ ভোট ও পানির বোতল প্রতীকে লালন আলী পেয়েছেন ৭৮ ভোট।
এছাড়া, ৭ নং ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকে সর্বোচ্চ ৬শ ৪৭ ভোট পেয়ে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশাদুল হক ডালিম প্রতীকে পেয়েছেন ৫ম ৬২ ভোট। তাছাড়া, টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৪শ ৯৩ ভোট ও পানির বোতল প্রতীকে শামীম আশরাফ পেয়েছেন ৫১ ভোট।
এছাড়া, ৮ নং ওয়ার্ডে পানির বোতল প্রতীকে সর্বোচ্চ ৬শ ৮২ ভোট পেয়ে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আশরাফুল হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহিদুল ইসলাম উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৫শ ৯৩ ভোট। তাছাড়া, ডালিম প্রতীকে দেলোয়ার মোল্লা পেয়েছেন ২শ ৯৪ ভোট।
এছাড়া, ৯ নং ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১শ ৯১ ভোট পেয়ে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুল মুন্সী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মামুনুর রশিদ হাসান টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ৬শ ৫ ভোট।
এছাড়া, সংরক্ষিত মহিলা ১ নং আসন ( ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড) -এ আনারস প্রতীকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫শ ২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শিপ্রা বিশ্বাস। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কল্পনা খাতুন চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৯শ ৬০ ভোট। তাছাড়া, জবা ফুল প্রতীকে রুমা খাতুন পেয়েছেন ৬শ ৪০ ভোট।
সংরক্ষিত মহিলা ২ নং আসন ( ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড) -এ আনারস প্রতীকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রাবেয়া খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুফিয়া খাতুন চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬শ ৫৬ ভোট। তাছাড়া, জবাফুল প্রতীকে রেখা খাতুন পেয়েছেন ৫৯৭ ভোট ও বলপেন প্রতীকে আয়েশা সিদ্দিকা পেয়েছেন ১ হাজার ৩শ ৪৫ ভোট।
সংরক্ষিত মহিলা ৩ নং আসন ( ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড) -এ চশমা প্রতীকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬শ ৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ারা খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরজিনা খাতুন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ২শ ৬২ ভোট। তাছাড়া, জবাফুল প্রতীকে রীতা খাতুন পেয়েছেন ২শ ১ ভোট, দ্বিতল বাস প্রতীকে রশিদা খাতুন পেয়েছেন ১ হাজার ২শ ১৩ ভোট ও টেলিফোন প্রতীকে নূরজাহান খাতুন পেয়েছেন ৭শ ৯০ ভোট ।