অফিসার ইনচার্জের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১ বছরে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা কমেছে শতকরা ৪৫ ভাগ
গত ১ বছরে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা কমেছে শতকরা ৪৫ ভাগ। গত ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আলমডাঙ্গা থানায় মোট ৩৩৬টি মামলা দায়ের করা হয়। ২০২০ সালে মামলার সংখ্যা নেমে আসে প্রায় অর্ধেকে অর্থাৎ ১৭৩টি-তে। ২০১৯ সালে প্রতি ২৬ ঘন্টায় গড়ে ১টি করে মামলা রেকর্ড করা হয়। পক্ষান্তরে ২০২০ সালে প্রতি ৫১ ঘন্টায় গড়ে ১টি করে মামলা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। থানায় মামলা করতে আসা শতকরা ৪৫ ভাগ অভিযোগ সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়েছে। মূলতঃ আলমডাঙ্গা থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১ বছরে মামলার পরিমান অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে অনেকের মন্তব্য থেকে জানা যায়।
আলমডাঙ্গা উপজেলার উদয়পুর গ্রামের অ্যাড মোখলেস উদ্দীন জানান, “আমাদের গ্রামেরসমজিদের সম্পত্তি নিয়ে গ্রামবাসির সাথে কতিপয় ব্যক্তির বিরোধ ছিল। এ বিরোধের কারণে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে অশান্তি বিরাজ করছিল। থানায় মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। গ্রামে সালিশের মাধ্যমে সমাধানের সব পথ বন্ধ হয়ে গেলে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর দায়িত্ব নেন দীর্ঘদিনের এ কলহ বিবাদ মীমাংসার।
তিনি উদয়পুর গিয়ে গ্রামবাসিকে সাথে নিয়ে কয়েক দফা সালিশ বৈঠক করে সে মামলার মীমাংসা করে দিয়েছেন। আমার জানা মতে তিনি নাগদা গ্রামের মসজিদ ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার কমিটি নিয়ে বিবাদ ও মামলা ও লক্ষীপুর গ্রামের মসজিদের কমিটি নিয়ে সৃষ্ট বিবাদও তিনি মীমাংসা করে দিয়েছেন।
আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর বলেন, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ অত্যন্ত ন্যায়নিষ্ঠ মানুষ। তিনি মুখে যে কথা বলেন, কাজও করেন কথামত। তাঁর সাথে চাকুরী করতে গিয়ে অনেক ভাল গুণের পরিচয় পেয়েছি। সাধারণ মানুষের প্রতি স্যারের পক্ষপাতিত্ব অপরিসীম। থানায় মামলা করতে আসলে তিনি বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষকে ডেকে মীমাংসা করে নেওয়ার সুযোগ দেন।
প্রয়োজনে মধ্যস্থতা করতে একজন এস আই-কে নির্দেশনা দেন। সালিশ বৈঠকে মীমাংসা না হলে তারপর এজাহারের সিদ্ধান্ত নেন। সে কারণে মামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। গত মার্চ মাসে তিনি আলমডাঙ্গা থানায় যোগ দিয়েছেন। এরই মধ্যে অর্ধেকে নেমে এসেছে মামলার সংখ্যা।