চুয়াডাঙ্গায় ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে স্বামী গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় পারিবারিক কলহের জেরে নিজ স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার কালিভান্ডারদহ গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। গ্রামের জসিম অধিকারীর স্ত্রী দোলন অধিকারীকে (২৫)মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা।তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী জসিম অধিকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ঘটনার সময় ব্যবহৃত ছুরি।
স্থানীয়রা জানান,দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক খুটিনাটি বিষয়ে স্বামীর সাথে বিবাদ চলে আসছিল দোলনের। আজ সকালে পারিবারিক কলহের জেরে ধারালো চাকু দিয়ে দোলনকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করে স্বামী জসিম। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় দোলনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ছোট ছোট দুইটা মেয়ে আছে। এরআগে সেলুনের দোকানে কাজ করতো জসিম অধিকারী।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, দোলনের অবস্থা আশংকাজনক। তার গলার রগ কেটে গেছে। তার গলাই অসংখ্য সেলাই দেয়া হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বা রাজশাহীতে পাঠানো হতে পারে।
ভুক্তভোগী দোলন অধিকারীর বাবা সুনিল অধিকারী জানান, বিয়ের পর কোন ঝামেলা ছিলনা দোলনের সংসারে। কিন্তু জসিমের মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা কানু গোসাই দ্বিতীয় বিয়ের পর শুরু হয় পারিবারিক কলহ। কানু গোসাই ও তার স্ত্রী আশা প্রায়ই দোলনের উপর অত্যাচার করতো। তার বিরুদ্ধে ছেলেকে কথা লাগাতো।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান,ঘটনার পর দুপুরে ভুক্তভোগী দোলন অধিকারীর বাবা সুনিল অধিকারী বাদী হয়ে জসিম অধিকারী, তার বাবা কানু গোসাই অধিকারী ও কানুর স্ত্রী আশা অধিকারীকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযুক্ত স্বামী জসিম অধিকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।