কিশোরের গলাকাটা লাশ, হত্যাকারী সন্দেহে আটক ২

মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের হালসার দরগার মাঠ থেকে ছলেমান হোসেন (১৮) নামে এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে ওই গ্রামের ভাদু আলীর ছেলে। স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য আবদুল হামিদ জানান, নিহত যুবক কৃষিকাজ করত। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা জানাতে পারেননি এলাকাবাসী। মিরপুর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, হালসা দরগার মাঠ থেকে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার রাতের কোনো একসময় ওই যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর কারণ বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মিরপুর থানার ওসি। এ সময় তিনি আরও জানান হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে একই উপজেলার নগরবাকা গ্রামের সাকিল (২০) ও হালসার কুদ্দুসের ছেলে সোনাবাবু (৫০) নামে দুই ব্যক্তিকে প্রামিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানাযায় নিহত ছলেমান হোসেন কৃষিকাজ ও বাড়ির সামনে ছোটট্ একটি চায়ের দোকানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করত। থানাসূত্রে জানাযায় সাকিল উক্ত এলাকায় নানা বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করব। তার নিজের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার সরজগঞ্জ এলাকার শাহাপুর। তার পিতার নাম জাকির হোসেন। নিহতের মা সালেহারন বিবি ও বাবা ভাদু হোসেন জানান “বিদেশ ফেরত সোনাবাবুর মেয়ের সাথে আমার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সোনাবাবু বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল এবং বলে আসছিল আমার ছেলেকে দেখে নেবে। আমার ছেলের বন্ধু ও গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম রবুল আমার ছেলেকে হত্যা করতে পারে। কারণ লালমিয়া খন্দকার মাজারের সামনে তারা একই সাথে খেলাধুলা করত।” এছাড়াও স্থানীয়দের মাধমে জানাযায় মাজারটি মূল গ্রাম থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়াতে সেখানে সচরাচর মাদকসেবিদের আখঢ়া বসে ও বাদক বেচাকেনা চলে।