কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক মারধর মামলায় সাবেক ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাদ গ্রেফতার

কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদকে (৩১) সাংবাদিক মারধর করা মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোরে আলমডাঙ্গা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু তালেব রওশনের আলমডাঙ্গা শহরের বাবুপাড়ার ভাড়াবাড়ি থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
আবু তালেব রওশন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে। পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ডাবিড়াভিটা গ্রামের মওলা মণ্ডলের ছেলে ও আবু তালেব রওশনের আত্মীয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৫ ডিসেম্বর রাত নয়টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের এসবি পরিবহন অফিসের সামনে দীপ্ত টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকারসহ কয়েকজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে যান। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা সাদ আহমেদসহ আসামিরা মোটরসাইকেলযোগে হকিস্টিক, লাঠি নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
তারা এসবি কাউন্টার বাস কাউন্টারে ভাঙচুর করেন। দীপ্ত টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান সেই দৃশ্য ধারণ করলে তারা সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেন। দেবেশ চন্দ্র সরকার ও ক্যামেরাম্যান হারুন উর রশীদকে মারধর এবং ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। সাংবাদিক দেবেশ চন্দ্র সরকার ও ক্যামেরাম্যান হারুন উর রশীদকে আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায়, ৬ ডিসেম্বর রাতে দীপ্ত টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় বিলুপ্ত কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদকে প্রধান আসামিসহ অজ্ঞাত আরও ১৪/১৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের পর সাদ আহমেদ পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার ভোরে তাকে আলমডাঙ্গা শহর থেকে গ্রেফতার করা হল। কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম তাকে গ্রেফতার অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, সাদ আহমেদকে\সংশ্লিষ্ট মামলায় আজই আদালতে উপস্থিত করা হয়।