ঘুড়ি ওড়াতে লাগবে অনুমতি
ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোল খেলনা বিমান ও ঘুড়ি ওড়াতে হলে এখন থেকে নিতে হবে অনুমোদন। তা না হলে বিষয়টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। গত ২১ জুলাই মঙ্গলবার আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর- আইএসপিআর থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর বলেছে, সর্বসাধরণের অবগতির জন্য জানাচ্ছে- সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও, গবেষণা প্রতিষ্ঠান) বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোল খেলনা বিমান ও ঘুড়ি উড্ডয়ন করছেন। এসব অননুমোদিত উড্ডয়নের ফলে নিয়মিত উড্ডয়নকারী বিভিন্ন অনুমোদিত যাত্রীবাহী দেশি-বিদেশি বিমান, হেলিকপ্টার এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন সামরিক বিমানের সঙ্গে আকস্মিক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রতি ঝুঁকি বলে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এমতাবস্থায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোল খেলনা বিমান ইত্যাদি উড্ডয়ন করানোর ৪৫ দিন আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নির্ধারিত ফরম অনুযায়ী লিখিত পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষই যে কোনো ধরনের বেসামরিক উড্ডয়নের একমাত্র নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ।