২ শতকের কথা বলে সমস্ত সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার ঘটনায় মেয়ে-জামাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
২ শতকের কথা বলে সমস্ত সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার অভিযোগ তুলে মেয়ে-জামাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করলেন আলমডাঙ্গার বক্সীপুর গ্রামের মৃত আকবর আলীর বিধবা স্ত্রী আমেনা খাতুন। ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
পঠিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, আমিনা খাতুনের ৪ ছেলে মেয়ে। ছোট মেয়ে ফুলি খাতুনসহ জামাই লাল্টু আলী বিধবার বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছে। বিধবার বাড়ির জমি মোট সাড়ে ৮ শতক। এক পর্যায়ে বাড়ি করার জন্য ছোট মেয়ে-জামাই তার নিকট ২ শতক জমি দাবি করেন। তিনি ২ শতক জমি দিতে সম্মত হলে গত ১৩ জানুয়ারি ২০০৯ সালে মেয়ে জামাই অক্ষররজ্ঞানহীন আমিনা খাতুনকে রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যায় ২ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে নিতে। ওই দিন জমি রেজিস্ট্রির পর তারা বাড়ি ফিরে আসে।
তারপর দীর্ঘ কয়েক মাস চুপচাপ। কোন সমস্যা হয়নি। গত অক্টোবর মাসে বাড়ির বাকী জমি অন্যান্য সন্তানের মাঝে ভাগ করে দিতে যান আমেনা খাতুন। সে সময় বাধে বিপত্তি। ছোট মেয়ে ও জামাই সমস্ত জমি তাদের বলে দাবি করে অন্যান্য ভাই-বোনদের ভাগ দিতে অস্বীকার করে। আমেনা খাতুনকে তারা জানায় যে, তুমি সব জমি আমাদের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছো। এখন বাড়ির পুরো জমির মালিক আমরা। এমনকি জামাই মেয়ে বৃদ্ধ বিধবা মেয়েকেও তার বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করেছে।
অসহায় বিধবা আমেনা খাতুন দাবি করেছেন যে, মাত্র ২ শতক জমি নেওয়ার কথা বলে তার মেয়ে জামাই মোহরীর সাথে যোগসাজশে প্রতারণা করে সমস্ত জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। এখন, একদিকে আমেনা খাতুন গৃহহীন-আশ্রয়হীন। অন্যদিকে, বঞ্চিত সন্তানদের চাপ ও লাঞ্চনা গঞ্জনা। এমতাবস্থায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তা না হলে তাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন।