আলমডাঙ্গায় মাস্ক পরিধান না করার অপরাধে ৮জনকে জরিমানা
আলমডাঙ্গায় মাস্ক পরিধান না করে বাইরে ঘুরাফেরা করার অপরাধে ৮জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার ২৩ নভেম্বর বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিটন আলী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করেন।
জানা যায়, শীতের প্রারম্ভেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ২য় ঢেউ আতঙ্ক শুরু হয়েছে। শীত পড়তে না পড়তেই দেশে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে প্রশাসনও আগাম ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপরতা শুরু হয়েছে। বাড়ির বাইরে চলাচলরত অবস্থায় ব্যক্তিকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মনে চলতে হবে। কোনো ব্যক্তি এই আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সংক্রমণ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাদেশের ন্যায় আলমডাঙ্গায়ও শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। ২৩ নভেম্বর সোমবার আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের ব্যাপারে সচেতনতা মুলক কার্যক্রম চালিয়েছেন। শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলীর নেতৃত্বে শহরের আলিফ উদ্দিন মোড়ে, জুতা পট্টি, কাপড় পট্টি, মাংস বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮ জনকে জরিমানা করা হয়। আর্থিক দন্ড প্রদানকারি পথচারী ফরিদুপর গ্রামের সোহাগকে ৫শ টাকা, কুষ্টিয়া পাটিকাবাড়ির নাজমুলকে ৫শ টাকা, মাজিলার মহিবুলকে ৫শ টাকা, বেধবাড়িয়ার নিখিলকে ৩শ টাকা, চাপাইনবাবগঞ্জের হাবিবুর রহমানকে ৫শ টাকা, কেদারনগরের রিপন আলীকে ৫শ টাকা, বক্সিপুর গ্রামের মাংস ব্যবসায়ী আলমকে ৫শ টাকা ও আলামীন গার্মেন্টসে ১হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা থানার এসআই হাসনাঈন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী বলেন, আলমডাঙ্গাবাসীর কল্যাণে করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। শহরে মাস্ক পরিধান না করলে কাউকে সেবা প্রদান করা যাবে না। মাস্ক পরিধান ব্যতিত গণপরিবহণে ভ্রমণের কোন সুযোগ নেই।