আলমডাঙ্গায় অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ টাকা আদায়ের প্রতিবাদে শিক্ষার্থিদের মানববন্ধন
অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে টাকা নেওয়ার প্রতিবাদে আলমডাঙ্গার কাঠাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশ উপেক্ষা করে শিক্ষার্থি প্রতি ২০০ থেকে ৪০০টাকা করে আদায়ের অভিযোগ তুলে ১৪ নভেম্বর বিদ্যালয় চত্ত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারি শিক্ষার্থিরা জানায়, ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থিদের নিকট থেকে ২০০টাকা, ৭ম,৮ম ও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থিদের নিকট থেকে ২৫০ টাকা ও জেসসি ক্যাজুয়াল পরীক্ষার্থিদের নিকট থেকে ৪০০ করে টাকা আদায় করা হয়েছে। টাকা আদায়ের পর শিক্ষার্থিদের হাতের ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কভার পাতাসহ কয়েকটি সাদা কাগজের অ্যাসাইনমেন্ট খাতা। নিন্মমানের খাতা দিয়ে বেশি টাকা নেওয়ার দাবি তুলেছে শিক্ষার্থিরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে “অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্ন বাবদ টাকা নেওয়া আইন বিরোধি”, “স্কুল ভিজিটের নামে অর্থ আত্মসাত”, শিক্ষার্থিদের সাথে অসদারণ”, কোচিং-র নামে অর্থ বাণিজ্য”, টিউশন ফির টাকা আত্মসাত” ইত্যাদি শ্লোগান সংবলিত প্লেকার্ড নিয়ে শিক্ষার্থিরা মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা জানান, প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করবেন। তিনি টাকা ফেরত দিতে বললে শিক্ষার্থিদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাসুদুল মান্নান জানান, রীতিমত রশিদ দিয়ে টাকা আদায় করা হয়েছে। এ টাকা আত্মসাৎ করা হয়নি। ব্যাংকে বিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশ উপেক্ষা করে কেন শিক্ষার্থিদের নিকট থেকে অ্যাসাইন বাবদ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে? এ প্রশ্নের জবাব দেননি।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী জানান, অ্যাসাইন বাবদ কোন অর্থ শিক্ষার্থিদের থেকে গ্রহণ করা যাবে না। গত ৮ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে। তারপরও অর্থ আদায় করা হলে তা হবে অপরাধের সামিল। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।