বাগেরহাটে ধর্ষকের ৭ দিনে রায়ঃ ধর্ষকের যাবজ্জীবন
ঘটনার মাত্র ৭ দিনের মাথায় বাগেরহাটে শিশু ধর্ষণ মামলার রায়ে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম এই রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাগেরহাটের আদালতের ইতিহাসে এত সংক্ষিপ্ত সময়ে রায় ঘোষণার ঘটনা এটিই প্রথম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি আবদুল মান্নান সরদার মোংলা উপজেলার মাকোড়ডোন গ্রামের ভূমিহীন আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার প্রয়াত আহম্মদ সরদারের ছেলে।
রবিবার বিকেল পর্যন্ত এই মামলার বাদী-বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শোনেন বিচারক। এরপর তিনি সোমবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মাকোড়ডোন গ্রামের ভূমিহীন আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় পিতৃহারা সাত বছর বয়সী শিশুটি তার মামার বাসায় থাকে। ৩ অক্টোবর বিকালে প্রতিবেশী আবদুল মান্নান সরদার বিস্কুট খাওয়ার প্রলোভন দিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ওই দিন রাতেই মেয়েটির মামা মোংলা থানায় আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোংলা থানার এসআই বিশ্বজিত মুখার্জি ১১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি রণজিৎ কুমার মণ্ডল এ বিষয়ে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলা আছে– কোনো ধর্ষণের ঘটনায় আসামি সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়লে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন করা যাবে। এই শিশু ধর্ষণের মামলাটি তারই প্রমাণ।