মা ইলিশ শিকারের দায়ে ৩৬ জেলেকে আটক
চাঁদপুর নৌ-সীমানায় মা ইলিশ নিধন ও ইলিশের প্রজনন রক্ষায় চলছে ২২ দিনের অভয়াশ্রম। এর মধ্যে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে মা ইলিশ শিকারের দায়ে ৩৬ জেলেকে আটক করেছে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা।
আটকদের মধ্যে ৩১ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং পাঁচজনকে জরিমানা করেছে পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার দুপুরে এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসি বেগম, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী হাকিম আবিদা সিফাত, অলিদুজ্জামান ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নেহাশীষ দাশ।
আগে শনিবার বিকাল ৪টা থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত মতলব উত্তর, সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ওই জেলেদের আটক করেন।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুপুর ১টায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটক ৩৬ জেলের মধ্যে চাঁদপুর কোস্টগার্ডের পৃথক দু’টি অভিযানে আটক হয় ২৪ জন। হাইমচর কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে আটক করে আট জেলেকে। এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলা টাস্কফোর্স আটক করে চার জেলেকে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি জানান, কোস্টগার্ডের অভিযানে আটক ২৪ জেলের মধ্যে ১৪ জনকে এক মাস ও নয়জনকে ২০ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে, মতলব উত্তরের আটক ৪ জেলের মধ্যে একজনকে এক মাস কারাদণ্ড এবং তিনজনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া হাইমচর উপজেলায় আটক আট জেলের মধ্যে সাতজনের এক বছর করে কারাদণ্ড এবং একজনকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইলিশের বংশ বিস্তারে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্য করলে ১ থেকে ২ বছর কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং উভয় দণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।