মেহেরপুরে চুরির ঘটনায় তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েলসহ ৩জনের কারাদণ্ড
মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুর শহরের ফুলবাগান পাড়ায় একটি বাড়িতে চুরির ঘটনায় জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানাসহ ৩ জনের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রবিবার বিকালে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা শিরিন নাহার এ রায় প্রদান করেন। আসামিরা হলেন জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা বেড়পাড়া সিরাজুল ইসলামের ছেলে। আশরাফুল ইসলাম ওরফে ভোঁদড় পৌর কলেজ মাঠ পাড়ার আমিনুল ইসলামের ছেলে।
শাহাবুদ্দিন নতুন পাড়া মোনাজাত আলী ছেলে। ৩৮০ ধারায় চুরি করার অপরাধে জুয়েল রানার দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাস জেল। শাহাবুদ্দিন ও আশরাফুল ইসলামের তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাস জেল। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মেহেরপুর শহরের ফুলবাগান পাড়ার মৃত আহমদ আলীর ছেলে অ্যাডভোকেট আসাদুল আজম খোকন বাদী হয়ে ৬ অক্টোবর ২০১৩সালে মামলা করেন।
ওই দিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর এক টার ভিতর কোন এক সময় আসাদুল আজম খোকনের বাড়ির জানালার গ্রিল ভাঙ্গিয়া ঘরের ভেতরে ওয়ারড্রব ও বাক্স ভেঙ্গে ৩০ হাজার টাকা ও ৫ ভরি ওজনের বিভিন্ন শ্রেণীর স্বর্ণালঙ্কার যার মূল্য আড়াই লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। যার মামলা নম্বর ৬৭৪/২০১৩. রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট ইমতিয়াজ বিন হারুন ও আসামিপক্ষের কৌশলী ছিলেন অ্যাডভোকেট মিনা পাল।
এবিষয়ে মেহেরপুর তাঁতী লীগের সভাপতি নুর ইসলাম সুবাদ ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, আগের একটি মামলায় মেহেরপুর জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানাসহ আরো দুজনের সাজা হয়েছে। আদালত যেহুত সাজা দিয়েছে তাই এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। আবার এমন ছোট ঘটনায় আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবনা। তিনি আরো বলেন বিষয়টি কেন্দ্রীয় তাঁতী লীগের অফিসে আমি ফোনের মাধ্যমে আবগত করেছি । কেন্দ্রীয় নেতারাও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য বলেছে।