চুয়াডাঙ্গায় কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার আলোচিত কলেজছাত্র জুবায়ের হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহা: বজলুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
দন্ডিতরা হল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের হারান মন্ডলের ছেলে মুন্তাজ আলি ও পিতম্বরপুর গ্রামের সবী শেখের ছেলে হাসান আলি।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১ এপ্রিল সকালে চুয়াডাঙ্গার মনিরামপুর গ্রামের রশিদ ঢাকার সাভারের নুরুল হকের ছেলে জুবায়ের মাহমুদকে বিয়ের দেওয়ার কথা বলে চুয়াডাঙ্গায় ডেকে নেয়। এরপর জুবায়ের চুয়াডাঙ্গায় পৌছালে রশিদসহ ১০-১২ মিলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে জুবায়েরকে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে।
২০০৯ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে পুলিশ আলোকদিয়া গ্রামের একটি কবর থেকে জুবায়ের লাশ উদ্ধার করে। জুবায়ের পিতা বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ১৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েক জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই সেকেন্দার আলি ২০১০ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।
দীর্ঘ ১০ বছর পর ৩৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহা: বজলুর রহমান পালতক একজনসহ অন্য তিন জন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও আনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। বেকসুর খালাস প্রাপ্ত আসামিরা হল আমির হোসেন, ইমান আলি, নুসরাত জাহান প্রিয়া ও কবির হোসেন। এ মামলার ১ নং আসামি মারা গেছেন ও অন্য আসামি রশিদ পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে মারা যায়।