ডাউকীর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল সহ ৬ জনকে মারধরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গার ডাউকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থি নাজমুল হুসাইনের গণসংযোগকালে তাকেসহ ৬ জনকে মারধর করার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় পোয়ামারী গ্রামে গণসংযোগকালে প্রতিদ্বন্দ্বি সরকার দলীয় প্রার্থি তরিকুল ইসলামের লোকজন আতর্কিতে হামলা চালিয়েছে এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থি নাজমুল হুসাইন।
৩ অক্টোবর রাত ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে পঠিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, আমি গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৩ মোটরসাইকেলে ৬ জন কর্মিকে নিয়ে গণসংযোগে পোয়ামারী গ্রামে যায়। এক পর্যায়ে পোয়ামারী গ্রামের ব্রীজের নিকট অবস্থিত দোকানে থাকা কয়েকজনের সাথে কথা বলার সময় প্রতিদ্বন্দ্বি সরকার দলীয় মনোনীত প্রার্থি তরিকুল ইসলামের ৫ জন ব্যক্তি পিস্তল, রামদা, হাতুড়ি, চাপাতি নিয়ে আতর্কিতে আমাদের উপর হামলা চালায়। তারা আমাকেসহ আমার কর্মি ডাউকী গ্রামের হাকিম উদ্দীন,সাজিদ মাহমুদ রোমিও, হাসিবুল, সেলিম ও ছত্রপাড়া গ্রামের জহুরুলকে বেধড়ক পিটিয়েছে। হামলাকারিরা হচ্ছে বক্সীপুরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী জেকের আলী, মাদ্রাসা পাড়ার বাদশা, গোবিন্দপুরের সাকিব, রকি, শিহাব ও টিটোন। এদের মধ্যে জেকের আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে। নির্বাচনি আচরণবিধি লংঘন করে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থির লোকজন আমার ও আমার কর্মিদেরত উপর এ ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। যাতে আমি ভয়ে নির্বাচনি মাঠ ছেড়ে চলে যায়।
এই সংবাদ সম্মমেলনের মাধ্যমে আমি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নিকট আমার ও আমার কর্মিদের জীবনের নিরাপত্তা, নির্বিঘ্নে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর অধিকারের জন্য আবেদন করছি। একই সাথে গণসংযোগকালে আমার ও আমার নিরাপরাধ কর্মিদের উপর হামলার সাথে জড়িতদের দ্রæত গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।