১২ জন গণধর্ষণ শেষে এক যৌনকর্মিকে অকথ্য নির্যাতনের ঘটনায় আলমডাঙ্গার বলিয়ারপুরজুড়ে আলোচনার ঝড়

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার বলিয়াপুর গ্রামের মাঠে নিয়ে ১ যৌনকর্মিকে সঙ্ঘবদ্ধ ১২ জন গণধর্ষণ শেষে অলথ্য নির্যাতনের ঘটনায় গ্রামজুড়ে এখন আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। গত সোমবার রাতে গ্রামের ১২ যুবক এক যৌনকর্মিকে গ্রামের মাঠে নিয়ে আসে।
রাতে ওই মহিলাকে ১২ জন মিলে শারীরিকভাবে মিলিত হয়। পরে মহিলাটির যৌনাঙ্গে টর্চ লাইট প্রবেশ করিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়। প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরে বলে এলাকাসূত্রে জানা গেছে।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে আলমডাঙ্গার বলিয়ারপুর গ্রামের হুমায়ূনের ছেলে হালিম ও শহিদুলের ছেলে নুর নবী চুয়াডাঙ্গা থেকে ২৫/২৬ বছরে এক স্বামী পরিত্যক্তা যৌনকর্মিকে ভাড়া করে নিয়ে যায়। রাতে গ্রামের ক্যানেলের পাশে হলুদের ক্ষেতে রাতভর ১২ জন যুবক মিলে ফুর্তি করে।অভিযোগ উঠেছে, ফুর্তি শেষে ধর্ষকরা যৌনকর্মির যৌনাঙ্গে টর্চ লাইট প্রবেশসহ অকথ্য নির্যাতন করে। অকথ্য নির্যাতনের ফলে মেয়েটি প্রচ- অসুস্থ হয়ে পড়লে সকালে হালিম মোটরসাইকেলযোগে তাকে সোনাতন গ্রামের মোড়ে নিয়ে পাখি ভ্যানে তুলে দেয়।
সকালে সঙ্ঘবদ্ধ ওই যুবকদের অনেকে রাতের কাহিনি রসিয়ে রসিয়ে গ্রামের অনেকের কাছে বর্ণনা করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিষয়টা নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে বলিয়ারপুর গেলে ইউপি সদস্য বাহাদুর আলী, শহিদুলসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেরই অভিযোগ করে উপরোক্ত কাহিনি জানান। জানা যায়, এই চক্রের প্রধান হোতা হালিম। তিনি মাঝে মাঝেই মহিলা ভাড়া করে গ্রামে নিয়ে গিয়ে দেহ ব্যবসা করান। তাছাড়া, এই সঙ্ঘবদ্ধ গণধর্ষণের ঘটনার সাথে একই গ্রামের জয়নাল সরদারের ছেলে শাকিল, ইসলাম উদ্দিনের ছেলে টিপু, আজিদের ছেলে মিঠুনসহ ১২ যুবক জড়িত।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় হালিমের মা ও বাবা গত পরশু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাহাদুর মেম্বারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হযনি। তবে অনেকেই জানিয়েছেন, নির্যাতনের শিকার যৌনকর্মি দশমাইল অথবা সাতগাড়ি হিজড়া পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।