কুষ্টিয়ায় পাতি সরালির ছানাগুলো বসবাসের জন্য পেল নিরাপদ জায়গা
কুষ্টিয়ায় শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়া মাসহ ছানাগুলো বসবাসের জন্য নিরাপদ জায়গা পেল। তাদের আশ্রয় হলো কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের জলাশয়ে। আপাতত চোরা শিকারীরা আর তাদের ক্ষতি করতে পারবে না। ছানাগুলো উড়তে শেখা পর্যন্ত সেখানে নিরাপদেই থাকবে তারা। বিশেষ করে পাখিটির বাচ্চাগুলোর নিরাপদ আশ্রয় করে দিতে পেরে খুশী উদ্যোক্তারা। শনিবার রাতে থানাপাড়া সতিস চন্দ্র সাহা লেন এর পুরানো কদম গাছ থেকে পাতি সরালির ৯টি ছানা লাফিয়ে নিচে পড়ে। সেখানকার কিছু ছাত্র ছানাগুলোকে উদ্ধার করে। ছানা উদ্ধারের সাখে সাখে মা পাখিটি উড়ে এস ছানাদের কাছে চলে আসে। মা পাখিটি সেচ্ছায় ধরা দেয়। তখন এলাকার শাহিনুর ইসলাম কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবকে ফোন করে বিষয়টি জানান। কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি এস আই সোহেল সেখানে উপস্থিত হয়ে মা পাখিসহ ৯ টি ছানা নিয়ে আসে। এসআই সোহেল জানান, পাখিটির নাম পাতি সরালি ।
এ সময় পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাস খোঁজ করা হচ্ছিল। এরই মাঝে এসআই সোহেল স্থাণীয় এক সংবাদ কর্মির মাধ্যমে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেন।
তিনি ছানাসহ মা পাখিটি পুলিশ লাইনের জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান এস আই সোহেলকে। সেই অনুযায়ী গতকাল রোববার দুপুরে পুলিশ লাইনে জলজ লতাপাতায় ছাওয়া নিরাপদ জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় প্রাখি প্রেমি এস আই সোহেল ছাড়াও কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ পুলিশের কর্মকর্তা ও স্থানীয় পাখি প্রেমিরা উপস্থিত ছিলেন।
পাখিটি তথা ছানাগুলোকে রক্ষা করতে পেরে আনন্দে আপ্লুত এস আই সোহেল। তিনি বলেন- পাখিরা আমাদের প্রকৃতির অংশ। তাই এদের নিরাপদে বসবাসের অধিকার আছে। আর মানুষ হিসেবে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য।
পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘পাখিরা আমাদের প্রকৃতিকে সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন করে। করোনাকালে প্রকৃতি তার আপন গতিতে চলছে। এর আগেও আমাদের পুলিশ লাইনসের পুকুরে অনেক দেশি ও বিদেশি জাতের পাখি আশ্রয় নিয়েছিল। এখন নতুন করে আবার ১০জন নতুন মেহমান আমাদের পুকুরে ছাড়া হলো। এখানে তারা ভাল থাকবে বলে আশা করছি।’