১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের (ফায়ারিং) অনুশীলনের সময় পথচারী যুবক গুলিবিদ্ধ

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
118
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
ছবি : 

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের চলমান বাৎসরিক মাস্কেট্রি (ফায়ারিং) অনুশীলনের সময় বাবু হোসেন নামে এক পথচারী যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার হায়দারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় বাবুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক।

আহত বাবু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ি গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন পারটেক্স মিস্ত্রি।


আহত বাবু হোসেনের (৩১) ভাই রাশেদ হোসেন জানান, মোটরসাইকেলযোগে বাবু হোসেন হায়দারপুর থেকে সাতগাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।


রাশেদ অভিযোগ করেন, কোনো ধরনের মাইকিং বা সতর্ক করা ছাড়াই পুলিশের মাস্কেট্রি অনুশীলন চলছিল। এর আগে পাঁচ বছর আগেও এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।


জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের–২০২৫ সালের বার্ষিক মাস্কেট্রি অনুশীলন ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর এর সমাপনী দিন ছিল। সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের ডিঙ্গেদহের ফায়ারিং বাটে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল এ অনুশীলন।

বৃহস্পতিবার অনুশীলন চলাকালে ফায়ারিং রেঞ্জের পেছনে এবং আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণকে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল এবং নিরাপদ স্থানে থাকতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছিল।


চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ আহমেদ বলেন, গত ১০-১৫ বছরে এ ধরনের ফায়ারিংয়ে ৩-৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং দুজন মারাও গেছেন। আমরা এ সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, সব নিয়ম মেনে ও জনসাধারণকে সতর্ক করেই ফায়ারিং কার্যক্রম চলছিল। তবে গুলিটা কোথা থেকে বিদ্ধ হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।


চুয়াডাঙ্গা বিজিবির নায়েক সুবেদার কামরুল ইসলাম বলেন, ৬ বিজিবির ফায়ার বাট জেলা পুলিশের জন্য ৯ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বরাদ্দ ছিল। সকাল থেকে ফায়ার চলমান ছিল। এ সময় ফায়ারে একজন বেসামরিক ব্যক্তি বাবুর বুকে গুলি লাগে বলে জেনেছি।


চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, এক্স-রের পর বুকের বাম পাশের অংশে গুলি রয়েছে বলে দেখতে পাই। এখানে অস্ত্রোপচার সম্ভব না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে মনে হয়েছে।


চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির ফায়ারিং রেঞ্জে জেলা পুলিশের বাৎসরিক ফায়ারিং চলছিল। এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলযোগে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। আমি হাসপাতালে গিয়েছি। তিনি আশঙ্কামুক্ত আছেন বলে জেনেছি।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram