২৪ ঘণ্টায় পাওয়ারটিলার উদ্ধার ও চোর গ্রেফতার: দ্রুত অভিযানে নজর কাড়লো আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ

কৃষকের ঘাম ঝরা পরিশ্রমের সঙ্গী পাওয়ারটিলার চুরির মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটি উদ্ধার করে চোরকে গ্রেফতার করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। ঘটনার পরপরই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁচামারি গ্রামে।
জানা যায়, বাঁচামারি গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে কৃষক হেলাল উদ্দিন ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় বড়জোলা মাঠে জমি চাষ শেষে পাওয়ারটিলারটি সৌর বিদ্যুৎচালিত চালার নিচে ঢেকে রেখে বাড়ি ফেরেন। পরদিন ৪ নভেম্বর ভোরে মাঠে গিয়ে দেখেন পাওয়ারটিলারটি উধাও। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে তিনি আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই থানা পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়। অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান (পিপিএম)–র নেতৃত্বে এসআই তাইজুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত অভিযান চালান। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চোরকে সনাক্ত করে বাঁচামারি গ্রামের মৃত ভুট্টা মিয়ার ছেলে লাল্টু (৩৬)–কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে চুরি হওয়া পাওয়ারটিলারটিও উদ্ধার করা হয়। ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ওসি মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান (পিপিএম) বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তদন্ত শুরু করা হয়। মাঠপর্যায়ের গোয়েন্দা তৎপরতা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত চোর সনাক্ত ও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ দমনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ওসি মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান (পিপিএম)-র দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আলমডাঙ্গা থানার অপরাধ দমন কার্যক্রমে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষণীয়। তার নেতৃত্বে পুলিশ বিগত কয়েক মাসে একাধিক হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলার আসামিকে দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করতে পেরেছে। এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, টহল জোরদার, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং মাঠপর্যায়ের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষের আস্থা বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদস্যদের তাৎক্ষণিক সাড়া, দায়িত্ববোধ এবং দ্রুত অভিযান পরিচালনা—এগুলো ইতোমধ্যে আলমডাঙ্গা থানাকে জেলার একটি কার্যকর ইউনিট হিসেবে পরিচিত করেছে।












