৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
অক্টোবর ৯, ২০২৫
42
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
ছবি : 

আলমডাঙ্গায় উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস.এম. মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দায়িত্বে অবহেলা ও খামারীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের সামনে ভুক্তভোগী খামারীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।


মানববন্ধনকারীরা বিভিন্ন প্লেকার্ড নিয়ে রাস্তায় ম্লোগান দেন। খামারী বান্ধব প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অতিদ্রু দিতে হবে, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার অপসারন চাই।


মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী খামারীরা অভিযোগ করেন, ডা. এস.এম. মাহমুদুল হক নিয়মিত অফিসে থাকেন না। অফিসে এলেও খামারীরা গরু-ছাগলসহ অন্যান্য পশু নিয়ে গেলে তিনি সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা দেন না।
তারা আরও অভিযোগ করেন, অফিসের সরকারি দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে তিনি প্রায়ই তাবলীগ জামায়াতের দাওয়াতি কাজে বের হয়ে যান। খামারীরা সালাম দিলে সালামের উত্তরও দেন না এবং তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। মোবাইল করলে রিসিভ করেন না।


খামারী খাইরুজ্জামান সেন্ট বলেন, “আমার ছাগলের গলা ফোলা রোগ হলে আমি উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার কাছে যাই। তাকে সালাম দিলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি, কথা বলেননি। পরে অন্য এক চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ওষুধ এনে ছাগলটিকে চিকিৎসা করি।


ছাগল খামারী লক্ষ্মী রানী বলেন, “আমার অসুস্থ ছাগল নিয়ে আমি প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি বলেন, এখানে ছাগলের চিকিৎসা হয় না, অন্য জায়গায় নিয়ে যান। পরে আমি বাড়িতে ফিরে যাই, কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাগলটি মারা যায়। আমরা এই অফিসারের অপসারনের দাবী জানাচ্ছি।


আরেক খামারী আকলিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, “সময়মতো আমার খামারে চিকিৎসা না দেওয়ায় আমার সাতটি ছাগল মারা গেছে। তিনি বলেন আমার যে ক্ষতি হয়ে তা কে দেবে। আমরা এই অফিসারের অপসারনের দাবী জানাচ্ছি।


পিজি খামারী জান্নাতুল নেছা নুপুর বলেন, “আগে আমরা নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহায়তা পেতাম। কিন্তু ডা. এস.এম. মাহমুদুল হক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কোনো প্রশিক্ষণ হয় না, সহায়তাও বন্ধ রয়েছে।


অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস.এম. মাহমুদুল হকের বক্তব্য নিতে গেলে দেখা যায়, তিনি অফিসের কক্ষের দরজা বন্ধ করে প্রাণীসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. এ.এন.এম. মোস্তাকিম মুকুটের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত রয়েছেন। এ সময় সাংবাদিকরা বিষয়টি গোপনে ভিডিও ধারণ করলে তিনি এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভিডিওটি মুছে ফেলেন।


পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. মাহমুদুল হক বলেন, “আমি দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে দাওয়াতি কাজে যাই না। কখনও গেলে নিয়ম অনুযায়ী ছুটি নিয়েই যাই। খামারীরা আসলে আমি যথাসাধ্য চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করি।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram