আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সড়ক চলাচলের অযোগ্য

আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের মাঝ দিয়ে যাওয়া প্রধান সড়কের বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে পথচারী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও ছোটখাট যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ বছর ধরে রাস্তাটির কোনো সংস্কার হয়নি। সিরাজুলের বাড়ির সামনে থেকে শমসের মÐলের দোকান পর্যন্ত রাস্তাজুড়ে পানি জমে থাকায় ভাঙাচোরা হয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হতে হলে অন্য মহল্লা ঘুরে আসতে হয়। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা কাঁদা-পানি পার হয়ে প্রতিষ্ঠানে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে। এমনকি নামাজ পড়তে মসজিদে বা অন্য প্রয়োজনে বাজারে যেতে হলেও ভেজা ও নোংরা হয়ে পড়ার আশঙ্কায় বাসিন্দাদের আলাদা পোশাক নিয়ে বের হতে হচ্ছে বলে জানান তারা।
সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল মান্নানের স্ত্রী বয়োবৃদ্ধ রেহেনা খাতুন বলেন, “আমার স্বামী কমিশনার থাকা কালীন রাস্তাটি ইট দিয়ে হেরিং করেছিল। তারপর থেকে আর কোনো উন্নয়ন হয়নি। রাস্তাটিতে সারা বছর কাঁদা পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এখন বাড়ি থেকে বের হতে হলে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে আসতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে কেউ দ্রæত বের হতেও পারে না।
মেহেদি নামের আরেক বাসিন্দা জানান, “অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তাজুড়ে হাঁটু সমান পানি জমে যায়। এতে আমাদের নিত্যদিনের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
মুলুক চান নামে এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত কোনো সংস্কার হয়নি। নির্বাচনের সময় সবাই প্রতিশ্রæতি দেয়, পরে আর কেউ খোঁজ নেয় না।
মহল্লার বাসিন্দা খলিলুর রহমান বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরেই এ দুর্ভোগের মধ্যে আছি। রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় এলাকার মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম সমস্যায়। আমরা পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রæত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
এলাকাবাসীর দাবি, জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটির সংস্কার না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে এ দুর্ভোগ আরও তীব্র আকার ধারণ করবে।












