লাইসেন্সবিহীন সার ব্যবসার অপরাধে বড় গাংনীর এস আর আহমেদকে জরিমানা

আলমডাঙ্গায় লাইসেন্সবিহীন অবৈধ সার ব্যবসার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আলমডাঙ্গার বড়গাংনীর এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসুর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, উপজেলার বড়গাংনী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এস. আর. আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে ‘রুমন ট্রেডার্স’ নামে দোকান চালিয়ে আসছেন। কিন্তু তার সার বিক্রির কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। তিনি গোপনে ইউরিয়া, এমওপি, টিএসপি ও ডিএপি সার কমদামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছিলেন।
বুধবার বিকেলে ৪০ বস্তা ডিএপি সার দবির নামে অন্য এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রির জন্য আলমসাধু গাড়িতে বোঝাই করার সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ হোসেন পলাশের নেতৃত্বে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা অভিযান চালান। এ সময় গাড়িসহ সারগুলো আটক করা হয়। পরে রুমন ট্রেডার্সে তল্লাশি চালিয়ে আরও শতাধিক বস্তা অবৈধ সার জব্দ করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হলে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি আশীষ কুমার বসু ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ এর ৮ ধারায় এস. আর. আহমেদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। জরিমানার টাকা পরিশোধের পর তিনি মুক্তি পান।
অভিযান শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসু বলেন, “প্রতিষ্ঠানটির কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। কৃষকের স্বার্থে এ ধরনের অবৈধ মজুদ ও বিক্রির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, “অবৈধ সার ব্যবসা কৃষকদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ। সঠিক দামে ও সময়ে সার না পেলে কৃষকরা বিপাকে পড়েন।” তিনি আরও জানান, জব্দকৃত সার সরকারি মূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
এ ঘটনায় স্পষ্ট হয়েছে প্রশাসন ও কৃষি কর্মকর্তাদের সতর্ক নজরদারির কারণেই কৃষকদের পকেট কাটা চক্র ধরা পড়েছে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, দীর্ঘদিন ধরে চলা এ অপকর্মে আর কারা জড়িত ছিল? কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?












