আলমডাঙ্গায় টাস্কফোর্সের অভিযানে প্রায় ৫০ পিস অবৈধ চায়না দোয়ারী জাল জব্দ: পুড়িয়ে ধংস

আলমডাঙ্গায় টাস্কফোর্সের অভিযানে প্রায় ৫০ পিস অবৈধ/নিষিদ্ধ চায়না দোয়ারী জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল প্রকাশ্যে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। ১০ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায়সা বোয়ালিয়া বিলে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অফিস, বিজিবি এবং পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানাগেছে, উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায়সা গ্রামের বোয়ালিয়া বিলে নতুন পানি এসেছে। এ পানি আসায় স্থানীয় কিছু সুবিধাবাদী মানুষ চায়না দোয়ারী জাল দিয়ে বাচ্চা থেকে শুরু করে সব ধরনের মাছ মেরে নিয়ে যাচ্ছে। এমন সংবাদের উপজেলা সহকারি কমিশনার ভ‚মি আশীষ কুমার বসু, উপজেলা মৎস্য অফিসার রাজিউল ইসলাম(অতিরিক্ত দায়িত্ব), ৬ বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী এবং জামজামি ক্যাম্প পুুলিশের ইনচার্জ এসআই সঞ্জিত কুমার, খাসকররা ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শেখ জসিম উদ্দিন ও তিওরবিলা ক্যাম্পর এএসআই রেজাউল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স রায়সা বোয়ালিয়াসহ আশপাশের বিলে অভিযান চালায়। অভিযানে রায়সা বোয়ালিয়া ও আশপাশের বিল থেকে অবৈধ প্রায় ৫০টি চায়না দোয়ারী জাল জব্দ করেন। পরে জনগণকে সচেতন করার জন্য জব্দকৃত জাল রায়সা বাজারের পাশে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে প্রকাশে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
এসময় এলাকাবাসি জানান, শুধু এ বিলেই না। উপজেলার বিভিন্ন বিলে ও আলমডাঙ্গা কুমার নদেও চায়না দোয়ারী জাল দিয়ে মানুষ মাছ ধরে বিক্রয় করে। এ সকল জালে মাছের বাচ্চা থেকে শুরু করে সবধরণের মাছ ধরা পড়ে।
এসময় উপজেলা সহকারি কমিশনার ভ‚মি আশীষ কুমার বসু জানান, ইতোপূর্বে এই বিলে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি চায়না দোয়ারী জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়েছে। এবারও প্রায় ৫০টি জাল জব্দ করে বিনষ্ট করা হলো। আপনারা সচেতন না হলে পরবর্তিতে অভিযান চালিয়ে জালের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।












