লেখাপড়া যেন শিশুদের আতঙ্কের কারণ না হয়ে যায়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে- জেলা প্রশাসক

আলমডাঙ্গায় প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও উত্তম চর্চা সম্পর্কে শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ জুন রবিবার সকাল ১০টায় কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয় চত্তরে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, শিক্ষাকে চাপিয়ে দেয়া যাবে না, শিশুরা কতোটুকু চাপ নিতে পারে; তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাকে চাপ দিয়ে সকাল সন্ধ্যা পড়ার টেবিলে বসিয়ে রাখবেন না।
আপনার সন্তানকে চাপ দিয়ে নয় তাকে স্বাভাবিকভাবে পড়তে দিন। তিনি আরও বলেন, খেয়াল রাখতে হবে সে স্কুলে যাই কি না রাতে বাড়ি ফেরে কিনা, বাড়ি ফিরে পড়তে বসে কি না। বেশি চাপাচাপি করলে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। লেখাপড়া তার আতঙ্কের কারণ না হয়ে যায়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাঝে মাঝে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিকট খোঁজ খবর নিতে হবে সে বিদ্যালয়ে ঠিক মতো আসছে কি-না।
বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসলেই আস্তে আস্তে মেধার বিকাশ ঘটবে। পরীক্ষায় কখনো খাবার হয় তাকে বলতে হবে তুমি চেষ্টা করো। এমন কিছু করা যাবে না যেমনটি বিদ্যালয়ে ফলাফল নিতে এসে খারাপ করেছে। সকলের সামনে তাকে মারধর করার ফলে সে খারাপে দিকে ধাবিত হতে পারে; এটাও করা যাবে না। মাঝে মাঝে সন্তানের সাথে গল্প করুন।
দেখবেন; সেই গল্প থেকে ভালো কিছু হতে পারে। তার প্রতি রাগ ক্ষোভ দেখিয়ে লাভ নেই, তাকে তো আপনি ফেলে দিতে পারবেন না। তাকে ভালবাসা দিয়ে ভালো করা সম্ভব। অসুস্থ প্রতিযোগী করার দরকার নেই, তাকে সুস্থ থাকার মধ্যদিয়ে কিছু শিখুক, স্বাবাভিকভাবে নিলে সে ভালো করবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা সহকারি কমিশনার ভূমি আশীষ কুমার বসু, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার আব্দুল্লাহ আল নাঈম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আশাদুল হক মিকা, ইউপি সদস্য নকিব উদ্দিন নেকবার, মাহাবুল হক, মিনারুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসমা পারভীন।
সহকারি শিক্ষা অফিসার জি,এম কামাল হোসেনের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক সদস্য সহকারি অধ্যাপক লুৎফুন নাহার, শিক্ষক রেহেনা পারভীন, আব্দুর রাজ্জাক, ক্রীড়া সংগঠন মিজানুল হক, সহকারি শিক্ষক আকলিমা খাতুন, আশরাফুল ইসলাম, ফারজানা জাহান, রেহানা পারভীন, আরজিনা পারভীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে তিন জন অভিভাবক মাকে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুরস্কার তুলে দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।