আলমডাঙ্গায় স্কুলছাত্রকে অপহরণের চেষ্টা: মুখোশধারীর হাত থেকে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচলো শিশু

আলমডাঙ্গায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের উপর ভয়াবহ একটি অপহরণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মহিলা কলেজের সামনে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাস তার গতিরোধ করে। ৩ জন অজ্ঞাতনামা ও মাস্কধারী ব্যক্তি তাকে গাড়িতে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। ভাগ্যক্রমে শিশুটি সাহস ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটে আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজের সামনে, জনবহুল এক এলাকায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাশিদ আল ইকরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সে ডামোশ গ্রামের প্রথিতযশা ব্যবসায়ী হিমেলের ছেলে। ঘটনার দিন স্কুলে শেষ পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার সময় আচমকাই একটি সাদা মাইক্রোবাস তার পাশে এসে থামে।
গাড়ির চালক দরজা খুলে বলেন, “আমাদের গাড়িতে উঠো, তোমার আব্বা পাঠিয়েছেন।”
নাশিদ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। ঠিক তখনই ভেতর থেকে মাস্ক পরা আরেক ব্যক্তি দ্রুত দরজা খুলে তাকে টেনে নেয়ার চেষ্টা চালায়। আতঙ্কে শিশুটি প্রাণপণে দৌড় দেয়। আশপাশের মানুষ টের পাওয়ার আগেই সেই গাড়িটি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
নাশিদের পিতা হিমেল বলেন, “ঘটনার পর ছেলে বাড়ি ফিরে আসলে কাঁপা কাঁপা গলায় আমাদের সব বলে। চোখে মুখে তখনো ভয়। এটা যে কত বড় বিপদ হতে পারত ভাবতেই শিউরে উঠি।”
এদিকে, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আল ইকরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ আলমডাঙ্গার অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেখানে শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন পড়াশোনা করে। এমন এক জায়গার পাশেই দিনের আলোয় এমন অপচেষ্টা গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, “আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই করছি। ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।”
নাশিদ রক্ষা পেয়েছে, কিন্তু প্রশ্ন জাগে—
যদি না সে দৌড়ে পালাত? যদি কেউ আশেপাশে না থাকত?
এই ঘটনা কেবল একজন শিশুকে নয়, এক গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
বি:দ্র: নিউজে ভিক্টিমের ছদ্ম নাম ব্যবহৃত হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ভীতি না ছড়ায়।