খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে এসআই সুকান্ত গ্রেফতার

খুলনায় পুলিশ হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল চুয়াডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার তিওরবিলা পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
২৬ জুন বৃহস্পতিবার কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার তিওরবিলা পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। তাকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করেছে খুলনা মহানগর পুলিশ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল। তাকে গ্রেফতার করে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খুলনা সদর থানায় বিএনপি নেতা শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় সুকান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তারে নির্ধারিত বিধিবিধান অনুসরণ করতে হয়। এটা না হলে পরে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়। তাই কিছুটা সময় লেগেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকা থেকে এসআই সুকান্ত দাসকে মারধর করে খানজাহান আলি থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয় স্থানীয়রা। রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় খান জাহান আলি থানা পুলিশ। এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর নিপীড়ন ও গণগ্রেপ্তার চালানোর অভিযোগ ছিল। ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর এসআই সুকান্তর বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় একটি মামলা হয়, যেখানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। এছাড়া বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্র থেকে আরও জানা যায়, এসআই সুকান্ত কর্মরত ছিলেন সোনাডাঙ্গা ও সদর থানা এলাকায়। ফ্যাসিবাদ সরকারের প্রতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তাদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন তিনি। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই গা ঢাকা দেন তিনি। পরে বদলি হন ঢাকায়। এখন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার তিওরবিলা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন বলেও জানা গেছে।