আলমডাঙ্গায় বিদেশে পাঠানোর নামে কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ১ নারী গ্রেফতার

বিদেশে কর্মসংস্থানের প্রলোভন দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিয়েছে একটি নারীচক্র— এমন অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযানে এক নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত নারীর নাম রিনা খাতুন (৪৪), তিনি এরশাদপুর চাতাল মোড়ের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান- পিপিএম 'র নেতৃত্বে বিশেষ অভিযানে সোমবার (২৩ জুন) এরশাদপুর চাতাল মোড় এলাকা থেকে মোছাঃ রিনা খাতুন (৪৪) নামে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসআই (নিঃ) মো. মনিরুল হক হাওলাদার।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা গেছে, প্রতারণার শিকার বন্ডবিল গ্রামের ইসমাইল হোসেন (২৫) নামের এক যুবক বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় রিনা খাতুন ছাড়াও হারদী গ্রামের মোছাঃ সালমা খাতুন (৫০) এবং আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী জানান, আসামিরা বিদেশে পাঠানোর নাম করে তার কাছ থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। এছাড়া তার চাচা কাজী আল আমিন হকের দুই ছেলে জয় ও বিজয়কে বিদেশে নেওয়ার কথা বলে নেয়া হয় ৭ লাখ টাকা।
শুধু তাই নয়, একই চক্র শিউলি খাতুনের (৩৮) কাছ থেকে নেয় ৩ লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণ, নেলিনা খাতুনের (৬০) কাছ থেকে নেয় ৫ লাখ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণ, মনোয়ারা খাতুনের (৪৫) কাছ থেকে নেয় ৭ লাখ টাকা এবং মাজেদা খাতুনের (৪৫) কাছ থেকে নেয় ১ লাখ ২২ হাজার টাকা।
সব মিলিয়ে নগদ টাকা এবং স্বর্ণ মিলিয়ে হাতিয়ে নেওয়া টাকার পরিমাণ ১ কোটি ২৫ হাজার টাকারও বেশি বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। কেউ কেউ জীবনের সব সঞ্চয় হারিয়ে পথে বসেছেন বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্র জানিয়েছে, এই নারীচক্র দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানা কৌশলে সাধারণ মানুষকে প্রলোভনে ফেলে প্রতারণা করে আসছিল। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মাসুদুর রহমান - পিপিএম বলেন, “অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা চক্রের অন্যান্য সদস্যদের চিহ্নিত করছি। এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"