পলাশীর পরাজয়: শুধু ইতিহাস নয়, বাঙালির আত্মজিজ্ঞাসার দিন

২৩ জুন, ঐতিহাসিক পলাশী দিবস ছিল। বাঙালির পরাজয়ের ইতিহাসে এক কালো দিন। ১৭৫৭ সালের এই দিনে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের মধ্য দিয়ে উপমহাদেশে শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সূচনা। সেই স্মরণে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা শহরের আনন্দধাম মহল্লায় অবস্থিত নিমগ্ন পাঠাগারে আয়োজিত হয় একটি আলোচনা সভা।
আলোচনায় উঠে আসে পলাশীর যুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভূমি, সেই যুদ্ধের কূটচাল, বিশ্বাসঘাতকতা এবং তার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব। অনুষ্ঠানে মূল বক্তা ছিলেন কবি আহমাদ কাজল, যিনি আবেগঘন উপস্থাপনায় পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। আলোচনায় অংশ নেন কবি তামিম হোসাইন ডালিম, কাজল আহমেদ ও নাদিউজ্জামান রিজভী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নিয়ে শায়খ ইমদাদুল হক বলেন, “পলাশীর পরাজয়কে শুধু বাঙালি জাতির নয়, মুসলিম সমাজের গভীরতম বিপর্যয় হিসেবেও দেখা দরকার। কারণ সেই পরাজয়ের পর মুসলমানদের জীবনে নামে নিপীড়ন আর বঞ্চনার ছায়া। স্বাধীন ভূখণ্ড পাওয়ার পর আজও তারা অনেকক্ষেত্রে পিছিয়ে, অনেকক্ষেত্রে হেরেছি বেঁচে আছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সালাউদ্দিন আহমেদ, তাওহিদ খান, রোহান, সাব্বির, আবু শুয়াইব শিমুল, বেলায়েত হোসেন বিপু, মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, তাইহান, ওয়াজি, সামিউল, আলনাঈম বিশাল, রহমতুল্লাহ, মাহিন, ফারহানসহ অনেক পাঠক, তরুণ ও ইতিহাস-সচেতন নাগরিক।
এই আয়োজন প্রমাণ করে, ইতিহাস শুধু বইয়ের পাতায় নয়, মানুষের মনে চেতনায় জেগে থাকলে তা ভবিষ্যতের পথ দেখায়। পলাশীর শিক্ষা শুধু অতীত নয়, বরং বর্তমানেরও দর্পণ।