আলমডাঙ্গায় একাধিক হত্যা মামলার আসামী জাদু অস্ত্র ও নগদ টাকাসহ গ্রেফতার

আলমডাঙ্গায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে আগোনয়াস্ত্র, গুলি, দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও নগদ টাকাসহ জোড়া খুনসহ ৩টি হত্যা মামলা আসামী জাদুকে গ্রেফতার করেছে। ১৯ জুন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আলমডাঙ্গার হারদী সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে জাদুর নিকট থেকে ১টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪ রাউন্ড গুলি, ৫টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ১টি মোবাইল ফোন ও বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা।
আগোনয়াস্ত্র, গুলি, দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও নগদ টাকাসহ জোড়া খুনসহ ৩টি হত্যা মামলা আসামী জাদু (৪৬) উপজেলার হারদী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মৃত দেলবার মÐলের ছেলে।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জাদু সীমান্তবর্তী এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা ও নানা অপরাধমূলক কর্মকাÐে জড়িত থাকার অভিযোগে নজরদারিতে ছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অস্ত্র রাখার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এদিকে অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর এ অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধমূলক কর্মকাÐ বেড়ে গেছে। সেনাবাহিনীর এমন পদক্ষেপে সাধারণ মানুষ আশার আলো দেখছে।
তারা বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় এসব অপরাধ দমন করা সম্ভব হবে বলেও আশা করেছেন তারা।
এলাকাবাসি জানিয়েছে, জাদু দীর্ঘ বছর ধরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়ির। সে ২০০১ সালে হারদী লক্ষিপুর গ্রামে একজনকে গুলি করে হত্যা করে। ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঈদের আগের রাতে বড়বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে রনি(২০) ও একই গ্রামের মজিবার রহমানের হাফিজুর রহমান ডুবার(২২)কে পাটের আঁশ দিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা করে। ২৬ সেপ্টেম্বর বড়বোয়ালিয়া গাংয়ের চর থেকে লাশ উদ্ধার করে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান(পিপিএম) বলেন, সেনাবাহিনী জাদু নামে একজনকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। যাদু জোড়া খুনসহ তিনটি হত্যা মামলার আসামী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।