যে হৃদয় থেমে গেল, তার প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা : ডাবুর মৃত্যুতে ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শোকবার্তা

আলমডাঙ্গার রাজনীতির এক দীপ্ত মুখচ্ছবি, সংগ্রামী নেতা, ত্যাগী সংগঠক ছিলেন এমদাদুল হক ডাবু। তাঁর মৃত্যুতে দলীয় কর্মীদের শোক যেন নদীর ঢেউয়ের মতো ছড়িয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার প্রান্তে প্রান্তে।
এহেন এমদাদুল হক ডাবুর মৃত্যুতে যখন শোকে স্তব্ধ গোটা আলমডাঙ্গা, তখন সেই শোকের ভার ভাগ করে নিলেন জাতীয় রাজনীতির শীর্ষ পর্যায় থেকেও। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক শোকবার্তায় তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, " এমদাদুল হক ডাবুর চলে যাওয়া শুধু একটি প্রাণের নিভে যাওয়া নয়; বরং একটি আস্থার, একটি নির্ভরতার বাতিঘর নিভে যাওয়া। এমদাদুল হক ডাবুর মৃত্যুতে আমরা হারালাম গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিবেদিতপ্রাণ এক লড়াকু সৈনিককে।"
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য এবং উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক ডাবু দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। অবশেষে গত ১৫ জুন ২০২৫, ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
মির্জা ফখরুল ইসলাম তাঁর শোকবার্তায় আরও বলেন, "দলীয় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেই নয়, ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী, সদালাপী ও মানবিক গুণাবলির অধিকারী। দুঃসময়ে তিনি নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাহসের দেয়াল হয়ে। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।"
বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকেও পৃথক পৃথক শোকবার্তা দেওয়া হয়েছে।
সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বলেন,"ডাবু ভাই আমাদের কেবল রাজনৈতিক অভিভাবক ছিলেন না, ছিলেন অভ্রান্ত ভালোবাসার প্রতীক। তিনি ছিলেন সাহসের আরেক নাম, ছিলেন আলমডাঙ্গা রাজনীতির ‘সাইলেন্ট লিডার’। অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন নেতা ছিলেন।"
১৬ জুন সকাল ১০টায় কালিদাসপুর দক্ষিণপাড়া ঈদগা ময়দানে জানাযার নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। জানাযার নামাজে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য ও প্রবীন রাজনীতিবীদ খন্দকার আব্দুর জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, জেলা আইনজীবী ফোরামের আহবায়ক অ্যাড: আ,স,ম রউফ, চুয়াডাঙ্গা জেলা জজকোর্টের পিপি অ্যাড: মারুফ সরয়ার বাবু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দার, পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, উপজেলা জামায়াতের আমীর প্রভাষক শফিউল আলম বকুল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আসিরুল ইসলাম সেলিম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপটন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক মোকাররম হোসেন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব ও ইউপি চেয়ারম্যান তবারক হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মিনাজ উদ্দিন বিশ^াস, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝন্টু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, পৌর যুবদলের আহবায়ক নাজিম উদ্দিন মোল্লা, সদস্য সচিব সাইফুদ্দিন আলম কনক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, জেলা, উপজেলা, পৌর বিএনপি, কৃষকদল, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মিসহ আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, ১৫ জুন তাঁর জীবনাবসান সংবাদ নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাঁর নামটি একাত্ম হয়ে গেছে আলমডাঙ্গা বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাসের পাতায়।