আলমডাঙ্গার জগন্নাথপুর গ্রামে বৃদ্ধ মহিলার দেড় শতাধিক ঔলগাছ কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা

আলমডাঙ্গার জগন্নাথপুর গ্রামের গাংপাড়ায় বৃদ্ধা জরিনা খাতুনের দেড় শতাধিক ঔলগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইয়ামিন আলী ও নূর ইসলামের বিরুদ্ধে। গত ৭ জুন শনিবার দিনগত রাতের যে কোন সময় ঔল বাগানে ঢুকে দেড়শতাধিক গাছ কেটে দিয়েছে। ৮ জুন সকালে বৃদ্ধা নারী জরিনা খাতুন তার ঔল বাগানের সব চেয়ে ভাল গাছ গুলো কাটা দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশও ঘটনাস্থল পুরিদর্শন করেছেন।
জানাগেছে, উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের জগন্নাথপুর গ্রামের গাংপাড়ার মৃত মুনতাজ আলী স্ত্রী জরিনা খাতুন (৭০) দর্জির কাজ করে সংসার চালায়। এক মেয়ে এক ছেলে রেখে স্বামী মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর কয়েক বছর পর একমাত্র ছেলে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বাড়ির সাথে বেশ কয়েক শতক জমিতে সবজি, ঔল, ঘাস, চাষ করে। জরিনা খাতুনের জমির পাশে একই গ্রামের মৃত আজেহার ডাক্তারের ছেলে ইয়ামিন ও মৃত ভাদু সর্দ্দারের ছেলে নুর ইসলামের বাগান রয়েছে। বাগানে বিভিন্ন প্রকার গাছ আছে। প্রায় দুই বছর আগে ইয়ামিনের বাগানের একটি কদম গাছে ডাল ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে জরিনা খাতুনের সাথে বাকবিতান্ড হয়। তারই জেরধরে ঔলগাছ কেটে দিয়ে বলে দাবী করেছেন জরিনা খাতুন ও তার মেয়ে আকলিমা খাতুন। এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ে করেছেন।
বৃদ্ধা জরিনা খাতুন জানান, প্রতিটি ঔল ৩ থেকে ৪ কেজি করে লাগানো। ঔল তুলার সময় হলে প্রতি গাছে ৮ থেকে ১০ কেজি ঔল হবে। আমাদের এই গাছ গুলো কেটে দিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকা ক্ষতি করেছে। এ কথা বলতে বলতে জরিনা খাতুন ও মেয়ে আকলিমা খাতুুুুুুুুুুুুুুুুুুন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আমার কোন বিটা নেই । যার জন্য আমার এই ক্ষতি হলো। এর বিচার আইন করবে।